সপ্তম সংখ্যা । ] দিগকে হাসিতে দেখিয়া নিজেও হাসিতে লাগিল। বানরনন্দনদ্বয় যেন একটু কৌতুক করিয়া আপনা হইতেই নামিয়া গেল। পাণ্ডার ভৃত্যদ্বয় বলিল, “ঐ রমণী বানরশিশুদিগকে কিছু না বলিয়া বড় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়াছিল। একটু বিরুদ্ধাচরণ করিলে রুধিরাক্তদেহে বাসায় ফিরিতে হইত।” সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইলে আমরা বাসার পৌছিলাম। রমণীরা পুনরায় তাহদের আহার প্রস্তুত করিবার জন্য নিযুক্ত হইল, আমি সায়ংসন্ধ্যার নিমিত্ত স্বৰ্গদ্বারঘাটে গেলাম। এই সময় সরযুতীর বড়ই মনোরম। ঘাটে অসংখ্য লোক সন্ধ্যা ও স্তবপাঠ করিতেছে । সারিপারি দেবমন্দিরে ঘণ্টাকঁাশরের মধুর নিষ্কণ সন্ধ্য-আরতির আড়ম্বর সুচিত করিতেছে। 會 ৪ঠা কীৰ্ত্তিক প্রাতঃকালে সরযুস্নান ও অবশিষ্ট দেবমন্দিরে পুজা শেষ করিয়া বাসায় গেলাম। অপরাত্ত্বে অযোধ্যার মহারাজের অন্যতম সভাপণ্ডিত প্রয়াগদত্ত মিশের বাসায় বৰ্ত্তমান মহারাজ ও র্তাহার রাজ্যাদিসংক্রান্ত অনেক কথোপকথন হইল । বাল্মীকিরামায়ণপাঠে অবগত হওয়া যায়, মানবেন্দ্র-মমু-কর্তৃক প্রথম অযোধ্যাপুরী নিৰ্ম্মিত হয়।* রামায়ণে ইহার অপুৰ্ব্ব বর্ণনা আছে। তখন এই পুরী দৈর্ঘ্যে ১২যোজন ও প্রস্থে ২যোজন ছিল। বৈবস্বতময় হইতে রাজ সুমিত্র পর্য্যস্ত স্বৰ্য্যবংশীয় নৃপতির ১১২ পুরুষ ও এখানে রাজত্ব করেন । তন্মধ্যে অযোধ্যা । ‘VHඳා রাজা দশরথ ও মহারাজ রামচন্দ্রের সময়েই ইহা উন্নতির পরাকাষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। কারণ স্বৰ্য্যবংশীয় নৃপতিগণই তখন ভারতবর্ষের সম্রাট্রপদে অভিষিক্ত ছিলেন। স্মৃতি ব্যতীত এখন আর এখানে সেকালের অপর কোন দ্রষ্টব্য পদার্থ নাই। বর্তমান মঠমন্দিরাদি সমুদয়ই আধুনিক। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বলেন – স্বর্য্যবংশীয় রাজার অযোধ্য পরিত্যাগ করিলে শ্রাবস্তীর রাজারা এখানে বহুকাল রাজত্ব করেন। মহারাজ অশোকের সময়ে এই নগরী বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারের প্রধান ক্ষেত্র ছিল । কারণ বুদ্ধদেবের প্রধান লীলাভূমি শ্রাবস্তী ও র্তাহার জন্মস্থান কপিলবস্তু অযোধ্যা হইতে অধিক দুরবর্তী নহে। অশোকবংশীয়দের পর, কাশ্মীরের রাজা মেঘবাহন অযোধ্যার রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন । তাহার পর, পরাক্রান্ত রাজা বিক্রমজিৎ মেঘবাহনকে পরাজিত করিয়া এই রাজ্য স্বীয় অধিকারভুক্ত করেন। তিনিই রামায়ণবর্ণিত লুপ্ততীৰ্থসকল উদ্ধার করিয়াছিলেন । উক্ত রাজা অযোধ্যায় ৩৬০টি দেবালয় নিৰ্ম্মাণ করেন । বিক্রমজিতের পর অযোধ্য সমুদ্রপালের করায়ত্ত হয়। এই রাজবংশ ৬৪৩ বৎসর শাসনদণ্ড পরিচালনা করেন। তাহার পর, এই নগরী জঙ্গলে পূর্ণ ও থারুনামক অসভ্যজাতির হস্তগত হয়, খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে চীনপরিব্রাজক হয়েন্থসাঙ অযোধ্যায় আগমন করেন । তথন এখানে বৌদ্ধকীর্তির অল্পমাত্র অবশিষ্ট ছিল। কিছু
- অযোধ্যা নাম নগরী তত্রাসীল্লেীকবিশ্রাতা।
মমুনা মানবেন্দ্রেণ যা পুরী নিৰ্ম্মিত স্বয়ম্ ॥ + বাল্মীকিরামায়ণ বালকাও ৫ম সর্গ দ্রষ্টব্য।