পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●●8 পাশ্বে মিলিত হইয়া মধ্যভাগ কিঞ্চিৎ ব্যবহিত থাকে এবং তদ্বারাই বাশ্বায়ু নির্গত হয়। কিন্তু লকারের উচ্চারণে যন্ত্রদ্বয়ের মধ্যভাগ মিলিত হইয়া পাশ্বদ্বয় ব্যবহিত থাকে এবং বাশ্বায়ু সেই দুই পার্শ্ব দিয়া বিনির্গত झग्न । আর-এক প্রকারে এই বর্ণের প্রকৃতি অন্য বর্ণ হইতে পৃথক দৃষ্ট হয়। সকল বর্ণই কণ্ঠতালু মূৰ্দ্ধাদি কোন একটি বিশেষ স্থান হইতে উৎপন্ন হয় এবং বৈয়াকরণগণ এই লকারেরও একটি উৎপত্তিস্থান নির্দেশ করিয়া দিয়াছেন। র্তাহারা ইহাকে দন্ত্যবর্ণ বলেন ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইহা তালু হইতে ওষ্ঠ পৰ্য্যন্ত সকল স্থান হইতেই উচ্চারিত হইতে পারে। ওষ্ঠ বলিতে বঙ্গদগুনি । [ ৬ষ্ঠ ৰষ, কাৰ্ত্তিক ওষ্ঠদ্বয়ের সন্মিলন বলিতেছি না, উৰ্দ্ধোষ্ঠের সহিত জিহবাগ্রের মিলনে লকারের উচ্চারণ হইতে পারে। সুতরাং ইহাকে কেবল দস্ত্যবর্ণ বলার কোন কারণ আমরা দেখিতেছি না। বরঞ্চ আমরা সাধারণত ইহাকে মূৰ্দ্ধা হইতেই উচ্চারণ করিয়া থাকি। এমন অবস্থায় ইহা যে দন্ত্যবর্ণমধ্যে কেন ধৃত হইয়াছে, তাহার কারণ বুঝিতে পারি না। স্থূল কথা, উৎপত্ত্বিবিষয়ে ইহার সমভাবাপন্ন বর্ণ আর নাই; কারণ, সকল বর্ণই কোন একটি বিশেষস্থান ব্যতীত অন্তস্থান হইতে উচ্চারিত হইতে পারে না, কিন্তু ইহার উচ্চারণ একাধিক স্থান হইতে নিম্পন্ন হয়, এইরূপ বর্ণ আর বর্ণমালামধ্যে নাই। শ্ৰীশ্ৰীনাথ সেন । রাইবনীদুর্গ। ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ । বাঙলার সিংহাসন অধিকৃত করিয়া তাহা সুদৃঢ়ভিত্তিতে স্থাপিত করিতে আলিবর্দীখার প্রায় এক বৎসর কাটিল। কিন্তু প্রভূ এবং প্রতিপালক ভূতপূৰ্ব্ব নবাব সুজাউদ্দীনের জামাত মুর্শিদকু গীর্থী তখনও নায়েব-নাজিমরূপে উড়িষ্যাপ্রদেশ দখল করিতেছিলেন। কাজেই প্রভুপুত্ৰহস্তা রাজনীতিজ্ঞ নুতন নবাব নিজেকে নিষ্কণ্টফ মনে করিতে পারিলেন না। অনেক কুটিল কোশল ও মন্ত্রণার পর উড়িষ্যার খবর আসিল যে, “কৃতজ্ঞ” আলিবর্দী অবগু জামাতাবাবাজীউর কোনরূপ অনিষ্টকামনা করেন না, তবে কিনা অবস্থাটা যেরূপ দাড়াইয়াছে, তাহাতে কুলীখার স্বপদে অবস্থান কোন পক্ষেরই বাঞ্ছনীয় হইতে পারে না, ইত্যাদি। স্বয়ং মুর্শিদকুলী সন্ধিস্থাপনের জন্য নবাবের কাছে দূত পঠাইয়া এইরূপ উত্তর পাইলে ধনসম্পত্তি ও পরিবারবর্গ সহ স্থানাস্তরে চলিয়া যাওয়াই নিরাপদ মনে করিতেছিলেন, কিন্তু সহধৰ্ম্মিণী দুর্গানাবেগম ইহার প্রতিবাদিনী হইলেন। তাহার উপর যুবক জামাত বাখরখ নিজের শৌর্য্যবীর্য্যের বিস্তর “তারিফ” করিয়া সাহস দেওয়ায় কুলীয় আর অমত করিতে পারিলেন না। যুদ্ধ করাই স্থির হইল। ↔ - গিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে মৰাব সরফরাজের