পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b"や বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, মাঘ । প্রত্যেক পিনে সৰ্ব্বত্র তাহাকেই স্বীকার করি, ভয়কে নয়, দ্বিধাকে নয়, শোককে নয়— তাহাকেই স্বীকার করি—আনন্দরূপমমৃতং ঘদ্বিভূতি । তিনি প্রচুররূপে আপনাকে দান করিতেছেন, আমরা প্রচুররূপে গ্রহণ করিতে পারিব না কেন ? তিনি প্রচুর ঐশ্বর্ষ্যে এই যে দিগ দিগন্ত পূর্ণ করিয়া রহিয়াছেন, আমরা সঙ্কুচিতৃ হইয়া, দীন হইয়া, অতি ক্ষুদ্র আকাঙ্ক্ষণ লইয়া সেই অবারিত ঐশ্বৰ্য্যের অধিকার'হষ্টতে নিজেকে বঞ্চিত করিব কেন ? হাত বাড়া ও ! বক্ষকে বিস্তৃত করিয়া দাও ! দুই হাত ভরিয়া, চোখ ভরিয়া, প্রাণ ভরিয়া অবাপ আনন্দে সমস্ত গ্রহণ কর । তাহার প্রসন্নদৃষ্টি যে সৰ্ব্বত্র হইন্তেই তোমাকে দেখিতেছে—তুমি একবার তোমার দুই চোখের সমস্ত জড়ত, সমস্ত বিষাদ মুছিয়া ফেল—তোমার দুই চক্ষুকে প্রীয় করিয়া চাহিদা দেখ, তখনি দেখিবে, তাহার প্রসয়ম্বন্দর কল্যাণমুখ তোমাকে অনন্তকাল রক্ষা করিতেছে—সে কি প্রকাশ, সে কি সৌন্দৰ্য্য, সে কি প্রেম, সে কি আনন্দরূপমমৃতম্ ! যেখানে দানের লেশমাত্র কৃপণতা নাই, সেখানে গ্রহণে এমন কৃপণতা cকন ! ওরে মূঢ়, ও-র অধিশ্বালি, তোর সম্মুখেই সেই আনন্দমুখের দিকে তাকাইয়া সমস্ত প্ৰাণমনকে প্রসারিত করিয়া পাতিয়া • ধৰ্ব-বলের সহিত বল-“অল্প নহে, আমার गबहे घ्राहे, झ्टेशक श्ष१ माtझ श्षभरुिँ। তুমি যতটা দিতেছ, আমি সমস্তটাই লইব"। আমি ছোটটার জন্য বড়টাকে বাদ দিব না, আমি একটায় জন্য অন্তটা হইতে বঞ্চিত হুইব না, আমি এমন गङ्छ थन ठाहेब, यांझ1 म*ानिकू झी*ाहेब्रां আছে,—যাহার অর্জনে আনন্দ, রক্ষণে আনন্দ, যাহার বিনাশ নাই, যাখার জন্ত জগতে কাহারে সঙ্গে বিরোধ করিতে হয় না ! তোমার যে প্রেম নানা দেশে, নান! কালে, ননি। রসে, নানা ঘটনায় অবিশ্রাম আনন্দে-অমৃতে বিকাশিত, কোথাও যাহার প্রকাশের অস্ত নাই, তাহাকেই এ কান্তভাবে উপলব্ধি করিতে পারি, এমন প্রেম তোমার প্রসাদে আমার অস্তরে অস্কুরিত হইয়। উঠুক্‌ ! . যেখানে সমস্তই দেওয়া হইতেছে, সেখানে কেবল পাওয়ার ক্ষম তা হারrইয়! যেন কাঙালের মত না ঘুরিয়া বেড়াই ! যেখানে আনন্দরূপমমৃতং তুমি আপনাকে স্বয়ং প্রকাশিত করিয়া রহিয়াছ, সেখানে চিরজীবন আমার এমন বিভ্রাস্তি না ঘটে যে, সৰ্ব্বদাই সপত্রই তোমাকে দেখিয়া ও না দেবি এবং কেবল শ্লোকদুঃখ, শ্রান্তিজরা, বিচ্ছেদক্ষতি লইয়া হাহাকার করিতে করিতে সংসার হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইয়া যাই ! ও শাস্তিঃ শান্তিঃ শাস্তিঃ । ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |