পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] স্মরণ করাইয়া কৈকেয়ীর মনে কৃপালেশ জাগ্রত করিতে চেষ্ট পাইতেছেন ; কিন্তু নিম ক্রুরত এবং অটল সঙ্কল্পের জীবন্তমূৰ্ত্তির দ্যার কৈকেয়ী তাহার স্বামীর অযোগ্যতাকে পিকার দিয়া ক্রুরবাক্যে রাজার ক্ষতস্থান দ্বিগুণ ব্যথিত করিতেছেন মাত্র, বারংবার রোঘক্যায়িতচক্ষে দশরথের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়ু বলিতেছেন -“মহারাজ অলক সত্যরক্ষার জন্ত স্বীয় চক্ষু উৎপাটন করিয়া ফেলিয়াছিলেন, মহারাজ শৈব্য সত্যবদ্ধ ছুইয়া স্বার মাংস গ্নেপক্ষাকে প্রদান করিয়াছিলেন, তুমি সত্যপালন না করিলে আমি বিষভক্ষণে প্রাণত্যাগ করিব, --রাজসভায় বসিয়া তোমার সত্যরক্ষার কথা তুমি প্রচার করিও।” ক্ষুধিত ব্যাক্টর পথে যেরূপ মুমূর্য, শিকার পাড়া থাকে, ব্যান্ধী তাহার ব্যগ্রসক্ষের দৃষ্টদ্বারাই যেন উহার প্রাণ কাড়িয়া লয়, দশরথের নিকট কৈকেয়ী সেহরূপ ভাবে অবস্থিত ছিলেন । একি ঘোর সঙ্কল্প ! রাজাকে লইয়া তিনি উৎকট পরিহাস করিতেও পশ্চাৎপদ মহেন ; দুৰ্ব্বিষহ যন্ত্রণায় অনিদ্ররজনী কাটিয়া, গেল ; সুমন্ত্র প্রাতে রাজসকাশে উপস্থিত হইলে রাজা আৰ্ত্ত ও নিম্প্রভ চক্ষে তাহার দিকে চাহিয়৷ রছিলেন,-শুষ্ক রসনা কোন কথা উচ্চারণ করিতে পারিল না। তথন কৈকেয়ী তাহাকে বলিলেন— e “মুমন্ত্র রাজা রজনীং রামহর্ষসমুংমুক: প্রজাগরপরিশ্রান্তে নিদ্রাবশমুপাগত ॥” মুমন্ত্র, রাজা কল্যরাত্রি রামের অভিষেকের হর্ষে জাগিয়া কাটাইয়াছেন, এইজষ্ঠ রাত্রিজাগরণক্লান্ত হইয়া নিদ্রার আয়ত্ত হইয়া পড়িয়াছেন।" . কৈকেয়ী 6.86 এই বিদ্ধপ কি ভীষণ ! রামচন্দ্র সমাগত হইয়া কৈকেয়ীর মুখে লরদালের ব্যাপার শুনিয়া বলিলেন – “এবমস্তু গমিষ্যামি বনং বস্তুমহং ত্বিতঃ। জটাচারধরে রাজ্ঞঃ প্রতিজামৰূপালীন I]” 举 来源 来源 来 “অলীকং মানসত্ত্বেকং হৃদয়ং দহতীল মে। স্বয়ং যন্নাহ মাং রাজা ভরতস্তাভিষেচন ॥” ‘তাহাষ্ট হউক, আমি রাজার প্রতিজ্ঞাপালনের জন্ত জটাচার ধারণ করিয়া বনগমনার্থ এথান হইতে প্রস্থান করিব ; কিন্তু এই একটি ননের ছুঃথে আমার হৃদয়কে লেন দগ্ধ করিয়া দিতেছে,—রজ কেন স্বয়ং আমাকে ভরতের অভিষেকের কথা বলিলেন না।’ পাছে রাজার আদেশ না শুনিলে রামচন্দ্র বনযাত্রা না করেন এবং রাগ নিতাস্ত বিচলিত অবস্থায় কিছু বলিতে না পারেন, এই আশঙ্কায় কৈকেয়া তাহাকে বলিলেন--‘রাজা দশরথ লজ্জিত হইয়া তোমাকে কিছু বলিতে পারিতেছেন না, তজ্জষ্ঠ তুমি কিছু মনে করিও ন! I'-- o “যাবত্ত্বং ন বনং ঘাত; পুরাদস্মাদতিত্বর । পিতা তীবন্ন তে রাম মাস্ততে ভোক্ষ্যতেহপি বা ॥” ‘তুমি ত্বরান্বিত হইয়া যে,পৰ্য্যন্ত এখান হইতে বনে যাত্রা না করিবে, সে পৰ্য্যন্ত তোমার পিতা স্নানাহার কিছুই করিবেন না । সত্যের সঙ্গে উৎকট মিথ্যার মিশ্রণ করিয়া উদ্দেশ্যসাধনে তিনি বিমুখ ছিলেন না, রাম তৎ কর্তৃক —“কশয়ের হতো বাজী বনং গন্তুং কৃতত্ত্বর” কণাঘাতে অশ্বের স্থায় বনযাত্রার জন্ত তাড়িত হইতে লাগিলেন। বারংবার "তব . ত্বহং ক্ষমং মন্যে নোৎসুকন্ত ,বিলম্বনমূ”