পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ماهو) করিব, ভগবানের ধ্যান করিব, তিনবেল স্নানাদি করিব, কাহারও অনিষ্ট করিব না— ইত্যাদি হইল আমাদের সমাজের প্রকৃত আদর্শ। সমাজের কয়জনে “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে” (কামিনী রায় )—এই মহামন্ত্রে দীক্ষিত হন ? উপরে র্যাহাদের কথা বলা হইল, সেইরূপ মহাপুরুষ অতি বিরল। সাধারণুত যাহারা সাধু বলিয়া প্রসিদ্ধ, তাহারা কেবল পরের অন্নে উদরপূর্তি করেন, এবং தேன் আত্মার কল্যাণের জন্ত গায়ে ভস্ম মানে, গাজ খান, জার আগুন জালিয়া তাহার সাম্নে বসেন। এই শ্রেণীর সাধুদের মতিগতি ফিরাইবার জন্ত মহাত্মা টহলরামকে একটি বিদ্যালয় খুলিবার সঙ্কল্প করিতে হইয়াছে ! আমাদের শাস্ত্র আঁর একভাবেও সৰ্ব্বভূতের হিতকে জীবনের লক্ষ্য বলিয়া বুঝাইয়াছেন। ཝ་༢i- . ইছ • হি ভগবান মমু: প্রথমং সৰ্ব্বভুতানুগ্রহার্থমূ জাগরস্থিতিহেতুভূতং শান্ত চকার।

  • নারদস্তুতির প্রারস্তে । হিতাৰ্থং সৰ্ব্বভূতানাং ভগবম্ কথয়ম্ব নঃ।

অত্রি, ২ শ্লো চাতুবর্ণাহিতার্থার শখঃ শাস্ত্রমথাকরোৎ । শখ ১২ ব্ৰহ্মচারী গৃহস্থশ বার্নপ্রস্থে খতিস্তথা। এতেষাং তু হিতার্থায় দক্ষ শাস্ত্রমখাৰুরোৎ ॥ 尊 দক্ষ, ১৩ সৰ্ব্বেৰা তিকায়ং দেবদেবfনুরাম্যম। প্রসঙ্গৰীলং বীক্ষ্য লোকানীং হিতকামায়া । বিমানতাদেৰী পাৰ্ব্বত শিবমত্ৰবাং। .. 輟 মহানিৰ্বাণতন্ত্র ১১• তে ছি বেদার্থতত্ত্বজ্ঞা লোকানাহিতকামায়। ಟ್ಗಳು ཕུ:“ཡཱ་ཀཱ་ ཅ༢ ধৰ্ম্ম ন বিচারয়েৎ । রাষ্ট্রবন্ধের টাকা অপরাবৃত বচন । ৰঙ্গদর্শন । [ ষষ্ঠ বর্ষ, চৈত্র শাস্ত্রকার ঋষিরা আমাদের আদর্শ। তাহারা মুক্তপুরুষ। র্তাহারা সৰ্ব্বলোকের হিতের জন্য শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছেন। অতএব আমাদেরও যে ঐ অাদর্শ গ্রহণ করা উচিত, তাহাতে সন্দেহ কি ? মূল আদর্শ– সৰ্ব্বভূতের হিত। এই সৰ্ব্বভূতের হিত দেশকালপাত্র •ভেদে নানা উপায়ে সাধিত হইতে পারে। ঋষিরা যে যে নিয়ম লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তদ্বারা তৎকালীন প্রাচীন সমাজের প্রভূত মঙ্গল হইত ; এবং ঐ সকল বিধিনিষেধদ্বারা এইরূপ মঙ্গল হইত বলিয়াই উহারা ধৰ্ম্ম বলিয়া গণ্য হইয়াছিল । মন্ত্র ধৰ্ম্মশাস্ত্র লিখিয়াছেন । কিন্তু, “কি ধৰ্ম্ম, কি অধৰ্ম্ম’, তাহা তিনি নিজে কিরূপে স্থির করিয়াছিলেন ? এ প্রশ্নের উত্তর মনু নিজেই দিয়াছেন— ইদং শস্ত্র তু ঠুত্বাসে মামেব স্বয়মাদিতঃ। বিধিবদ্বগ্রাহয়ামাস মরীচ্যাদীংস্তুহুং মুনীন । મs star সুং ব্রহ্মা- সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর- মনুকে শাস্ত্র .অর্থাৎ, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম শিখাইয়াছিলেন। এইরূপেই স্বয়ং ঈশ্বর মহম্মদকে কোরাণ এবং এইরূপেই স্বয়ং ঈশ্বর মীশুকে ধৰ্ম্মাপৰ্ম্মের উপদেশ দিয়াছিলেন । এই ঐশ্বরিক উপদেশ লাভ করিবার জন্য সকলেরই একটি বিশেষ ইন্দ্রিয় আছে। উহার নাম অন্তরাত্মা-হৃদয় zli conscience i s^Ftta sig ঐ অন্তরাত্মার মধ্য দিয়াই ঐশ আদেশ পাইয়াছিলেন। সেই আদেশের মুলতৃত্ব ছিল অদ্রোহ বা অহিংস, এবং সৰ্ব্বভূতের হিত (মনু, ৪২ ; દારગ ; ৬৫২ ; ৬৬০ ; নারদ ১।১ ) । বস্তুত ভগবান যে একখান সংস্কৃত বই লিখিয়া উহা মনুকে কণ্ঠস্থ কাইয়া দিয়াছিলেন, এ কথা