পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ t , ३ বঙ্গদর্শন। [ ৬ষ্ঠ বধু বৈশাখ। ', জানান্ধোৰ খাবানি ভূতানি জায়ন্তে, আনন্দেন বুদ্ধ দেখায় মাত্র। জড়চৈতন্তের সকল -ಪ್ಪসান জীবস্তি, আনন্দং প্রয়ন্ত্যভিসৰিশস্তি । আনন্দ হইতে জীব জন্মগ্রহণ করে, জন্মিয়৷ জীব আননেই স্থিতি করে, প্রলয়কালে আনন্দের প্রতিই ধাবিত হয় এবং আনন্দেই প্রবেশ করে। - ফলত, বিধাতা এম্নি করিয়া আমাদিগকে গড়িয়াছেন যে, আমাদের সর্বাবিধ জীবনচেষ্টাস * সঙ্গে সঙ্গে, তাহারই অবগ্ৰাম্ভাবী ফল ও অপরিহাৰ্য্য পরিণামরূপে, কিছু নী-কিছু আনন জাগিয়া উঠে। এই আনন্দটুকু না থাকিলে ংসারচক্র নিমেষে বন্ধ হইয়। যাইত । কে৷ হোবাস্তাৎ কঃ প্রীর্ণ্যং যদেষ আকাশ আনন্দে। 국 창), 1 " . কে বা শরীরচেষ্টা করিত, কেই লা প্রাণধাবণের জন্ত প্রয়াসী হইত, যদি এই আকাশে আনন্দ না থাকিত ? t জীবের আনন্দের প্রতি লোভ যেমন স্বাভাবিক, আনন্দবস্তু যাহা, তাহা ও সেইরূপ অতি শুষ্ক, অতি পবিত্র। অপবিত্র ਾਂ এ জগুতে কিছুই নাই। কারণ, জীবের যে আনন্দ, তাহাও ব্রহ্মানন্দেরই অংশ। এতস্তৈ"দন্ত ভূতানি মাত্রামুপজীবস্তি । এই যে ব্রহ্ম, ইহারই কণামাত্র আনন্দ পাইয়া জীবসকল আনন্দিত হয়। সেই রস স্বরূপের রক্ট জীবের চিত্তে ইন্দ্ৰিয়রস, বিষয়রস, স্নেহপ্রেমদয়াদাক্ষিণা প্রভৃতি মানস রস এবং পরিণামে চিদানন্দ বা ভক্তিরসরূপে প্রকাশিত হইয়া থাকে। । ਬੋਸ਼ ोट्छा श्रम्न রপ্তর সত্তা অসিদ্ধ। এইজন্ত বস্তু-বাহ, এ বিশ্বে তাহ মূলত এক, – ག་ལྷ། འདི་ད་ལྟ་ শক্তি যেমন একই ব্ৰহ্মশক্তিসমুদ্ভূত, ব্ৰহ্মশক্তিরই অনুপ্রকাশ; সকল জ্ঞান যেমন একই অখণ্ড ব্রহ্মচৈতন্তের চিদাভাস ; সেইরূপ বর্ষ বিধ আনন্দই মূলত ও বস্তুত ব্ৰহ্মা না,— সেই অদ্বৈতানদেরই উপরে বুদ্ধদের ছায় ভাসিয়া-উঠিয়া জীবের চিত্তকে বিমোহিত করে, এবং সেই আনন্দেই আবার বিলীন হইয়া যায় । জীবের আনন্দমাত্রেই ব্ৰহ্মানন্দের অমুপ্রকাশ, এইজন্ত সকল আনন্দই শুদ্ধ ও পবিত্র। কিন্তু একই মূল হইতে উৎপন্ন বলিয়া, জীবানন্দের মধ্যে যে ষ্টতরবিশেষ বা শ্রেষ্ঠনিকৃষ্টভেদ নাই, এমন নহে। ক্ষেত্রবিশেষে, অধিকরিমেন্দ, সকল আনন্দই বিশুদ্ধ ও পবিত্র, কিন্তু ক্ষেত্রের ও অধিকারের শ্রেষ্ঠনিকৃষ্টভেদ বা অধিকারীর উচ্চতানীচতানিবন্ধন আনন্দেরও শ্ৰেষ্ঠত-নিকৃষ্টত বা উচ্চত্বনীচত্বের বিচার হইয়া থাকে । যার বেই রস, তার সেই সৰ্ব্বোত্তম, তটস্থ হৈয়। বিচারিলে, আছে ভরতম ॥ ফলত, আমরা আনন্দের সত্তাগত কোনো । ভালমন্দ আছে ভাবিয় তাহার মধ্যে শ্রেষ্ঠনিকৃষ্টভেদ প্রতিষ্ঠা করি না, কিন্তু কেবল যে আধারে বা যে বিষয়-অবলম্বনে আননা প্রকাশিত হয়, সেই আধার ও আলম্বনের শ্রেষ্ঠত-নিকৃষ্টত বিচার করিয়াই এইরূপ বিভেদ কল্পনা করি। প্রথমত জীবের মধ্যে ইতরবিশেষ,—উচ্চনীচ, শ্রেষ্ঠনিকৃষ্ট-আছে। এই বিচার অবলম্বন করিয়া, শ্ৰেষ্ঠজীবের যে আনন্দ, তাহাই উচ্চ আকারে ও প্রকাশে বিভক্ত ও ও পবিত্র, নিকষ্টের যে আনন্দ, তাহাই স্থান ও ,