পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 একই ব্যক্তি জীবনেয় সকল অবস্থায় সমভাবাপন্ন থাকে ন এরং তাহার r অন্তঃপ্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাহার আনন্দের ও ভোগের প্রকৃতিও পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়। প্রকৃতির চরিতার্থত হইতেই জীবের আনন্দ উৎপন্ন হয়। ফলত স্বরূপজ্ঞান ও স্বরূপে অবস্থিতিই জীবের সর্ববিধ আনন্দের একমাত্র কারণ। অন্ন-প্রাণ-মন-বিজ্ঞান-ও-আনন্দবস্তুর দ্বারা আমাদের এই মানবপ্রকৃতি রচিত হইয়াছে - অন্ন আমাদের দেহের ও এই বাহ্যজগতের জড়-উপাদানের নামান্তরমাত্র। আমাদের এই অন্নময়কোষ যখন অন্নে প্রতিষ্ঠিত হয়—শরীরের জড়ধৰ্ম্ম যখন জড়প্রকৃতিতে নিৰ্ব্বিরোধ প্রতিষ্ঠা লাভ করে, কেবলমাত্র দেহধারণের যে একটা মৃদুমন্দ অথচ নিরবচ্ছিল আনন্দ, আমরা তখন তাহাই লোগ করিয়া থাকি। এইজন্ত কেবল দেহধাবণ করাই সুস্থব্যক্তির পক্ষে পরম সুখকর ব্যাপার । জড়ের পরে প্রাঃ । কিন্তু প্রাণবস্তু যে , র্কি, তাহা এখনো প্রগাঢ়প্ৰহেলিকাচ্ছন্ন। তবে প্রাণবস্তু যাহাই হউক না কেন,—আমাদের প্রাণরূপে যাহা প্রকাশিত হয়, তাহ যে একটা বিরাট্রপ্রাণতার মধ্যে সতত বিরাজ করিতেছে, আমাদের প্রাণ যে সেই বিরাট প্রাণসাগরের সামান্ত ও আপাতবিচ্ছিন্ন তরঙ্গভঙ্গমাত্র-দেশকালের অনিত্য বালুকাতটের দ্বারা মূল সাগরদেহ হইতে পৃথক হইয়া পড়িয়াছে এবং সমুদায় প্রাণচেষ্টার মধ্যে সতত সেই টি প্রাণু গরেরই ਬਾਂ করিতেছে, " —এ সকলত প্রায় সৰ্ব্ববাসিন্মত। আমಡ್ಯ ཨོtཤཱ་ཨཱ་ কুৰে শুদ্ধ প্রানক্রিানিবন্ধন বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ ৰধ, বৈশাখ। নিত যে মুখ, আরাম, আনন্দ ও শাস্তি সম্ভোগ করি, তাহাও আমাদের অন্তরস্থ প্রাণবস্তুর আত্মসাক্ষাৎকারলভ ও স্বরূপে অবস্থিতি হইতে উৎপন্ন হয় । o মনোময় আনন্দ ও বিজ্ঞানানন্দ—সকলই এই একই প্রণালীতে উৎপন্ন হয়। মানসিক বৃত্তিসমুদায় যখন আপন আপন বিষয় প্রাপ্ত হইয়া স্বরূপের দর্শনলাভ করে, তখনই মানসানন্দ সঞ্জাত হয়। বিজ্ঞান যখন বহুত্বের মধ্যে একত্ব ও ভেদের মধ্যে অভেদ প্রত্যক্ষ করে, এবং আপনার মধ্যে ও আপনার অতীতে যে নিত্যশুদ্ধবুদ্ধ সাক্ষিচৈতন্য প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া সমস্ত পরিণাম ও পরিবর্তনকে সম্ভব করিতেছেন, তাহাকে উপলব্ধি করে, তখনই প্রকৃত বিঞ্জনানন্দ লাভ হইয়া থাকে। তার উপরে, জীব যখন আনন্দময় কোষের অতীত যে আনন্দময় পুরুষ, আপনার আনন্দে তাহারই প্রকাশ প্রত্যক্ষ করিয়া আত্মারাম হয়, তখনই তাহার পরমানন্দলাভ ঘটে। সেই আনন্দ ও, জীবাত্মার আপনার অন্তরস্থ যে আনন্দবস্তু, তাহারই সঙ্গে যোগ ও তাহাতে অবস্থিতি হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে। এইরূপে আনন্দের ইতরবিশেষ,-শ্রেষ্ঠনিকৃষ্টভেদ আছে সত্য ; কিন্তু আনন্দমাত্রেই মূলত ব্ৰহ্মানন্দ ও তজ্জন্ত প্রত্যেক অধিকারীর পক্ষে তাহার আপনার আনন্দ যে সৰ্ব্বোত্তম, ইহা স্বীকার করিতেই হইবে। ” মানুষ আনন্দ চায়। ধৰ্ম্মে সে আনন্দ অন্বেষণ করে . কৰ্ম্মে সে আনন অন্বেষণ করে পুণ্যে মে. আনন্দ অন্বেষণ করে; পাপেও সে সেই আননাই অন্বেষণ করে। কিন্তু ললিতকলাকুশীলনে সে আনন্দের জন্তই