পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা ! কোটা কতটুকু ভাল ও কতটুকু মন, তাহ কেবলি অতি স্বল্পভাবে ওজন করিয়া চলে, তাহার ত্যাগ, দৈন্য, আত্মনিগ্ৰহ আধুনিক কবির হৃদয়কে আকর্ষণ করিতে পারে নাই । তিনি স্বতঃস্ফূর্ব শক্তির প্রচও লীলার মধ্যে আনন্দবোধ করিয়াছেন। এই শক্তির চারিদিকে প্রভূত ঐশ্বৰ্য্য ; ইহার হৰ্ম্মাচুড়া মেঘের পথ বুেধি করিয়াছে ; ইহার রথ-রথিঅশ্বে-গজে পৃথিবী কম্পমান ; ইহা স্পৰ্দ্ধাদ্বারা দেবতাদিগকে অভিভূত করিয়া বায়ু-অগ্নিইন্দ্রকে আপনার দাসত্বে নিযুক্ত করিয়াছে ; যাহা চায়, তাহার জন্য এই শক্তি শাঁস্ত্রের বা অস্ত্রের বা কোনো-কিছুর বাধা মানিতে সম্মত নছে। এতদিনের সঞ্চিত অভ্ৰভেদী ঐশ্বৰ্য্য চারিদিকে ভাঙিয়া ভাঙিয়া ধূলিসাৎ হইষ্ঠা যাইতেছে, সামান্য ভিখারী রাঘবের সহিত যুদ্ধে তাহার প্রাণের চেয়ে প্রিয় পুত্রপৌত্রআত্মীয়স্বজনেরা একটি একটি করিয়া সকলেই মরিতেছে ; তাহাদের জননীরা ধিক্কার ধিয়া কাদিয়া যাইতেছে, তবু যে অটলশক্তি ভয়ঙ্কর সৰ্ব্বনাশের মাঝখানে বসিয়াও কোনোমতেই হার মানিতে চাহিতেছে না,—কবি সেই ধৰ্ম্মবিদ্রোহী মহাদম্ভের পরাভবে সমুদ্রতীরের শ্মশানে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া কাব্যের উপসংহার করিয়াছেন। যে শক্তি অতি সাবধানে সমস্তই মানিয়া চলে, তাহাকে যেন মনে মনে অবজ্ঞা করিয়া, যে শক্তি স্পৰ্ধাভরে কিছুই শানিতে চায় না, বিদায়কালে কাব্যলক্ষ্মী निजब अयनिङ मागाषानि ठाशबहे ग्रणाब °ब्राहेब्र णि । "রোপের শক্তি তাহার বিচিত্র প্রহয়। * অপূৰ্ব ঐশ্বর্ঘ্যে পাৰিবমৰিষার চুড়ার উপর সত্যিকুঠি। י44ל দাড়াইয়া আজ আমাদের সম্মুখে আবিভূত হইয়াছে—তাহার বিদ্যুৎখচিত বঞ্জ আমাদের নত মস্তকের উপর দিয়া ঘনঘন গর্জন করিতে করিতে চলিয়াছে ;–এই শক্তির স্তবগানের সঙ্গে আধুনিককালে. রামায়ণকথার একটি নুতন বাধা তার ভিতরে ভিতরে স্বর মিলাইয়া দিল, এ কি কোনো ব্যক্তিবিশেষের খেয়ালে হইল ? দেশ জুড়িয়া ইহার আয়োজন , চলিয়াছে,—ষ্ট্ৰঞ্চলের অভিমানবশত ইহাকে আমরা স্বাকার করিব না বলিয়াও পদে পদে স্বাকার করিতে বাধ্য হইতেছি,—তাই রামায়ণের গান করিতে গিয়াও ইহার স্বর * আমরা ঠেকাইতে পারি নাই । * রামায়ণকে অবলম্বন করিয়া আমি এই কথাটা দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছি, মানুষের সাহিত্যে যে একটা ভাবের স্বষ্টি চলিতেছে, তাহার স্থিতিগতির ক্ষেত্র অতি বৃহৎ । তাহ • দেখিতে আকস্মিক ; এই চৈত্রমাসে যে ঘনঘন এত বৃষ্টি হইয়া গেল, সেও ত আকস্মিক বলিয়া মনে হয় । কিন্তু কত স্বদুর পশ্চিম হইতে কারণপরম্পরার * দ্বারা বাহিত হইয়া কোথাও বা বিশেষ সুযোগ, কৈাথাও বা বিশেষ বাধা পাইয়া সেই বৃষ্টি আমার ক্ষেত্রকে অভিষিক্ত করিয়া বিল। ভাবের প্রবাহও তেমূনি . কল্পিয়াই বহিয়া চলিয়াছে –সে ছোট-বড় কত কারণের দ্বারা খণ্ড হইতে এক এবং এক হইতে শতধা হইয়া কত রূপৰূপান্তরে ছড়াইয়া, পড়িতেছে। সম্মিলিত মানবের বৃহৎ মন, মনের নিগুঢ় এবং অমোঘ নিয়মেই আপনাকে কেবলই প্রকাশ করিয়া অপরূপ মানসস্থটি সমস্ত পৃথিবীতে বিস্তার করিড়েছে। তাহার কত প্ৰভুল তই লিঃ !