পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३९२ হইতে বিদায় লইয়া সেই-মে-সেই দেশভ্রমণে বাহির হইয়াছিলেন, সেই অবধি আজ পর্য্যস্ত যুণাক্ষরেও তাহার কোনো সংবাদ তুমিও পাও নাই, আমিও পাই নাই। তুমি তো জানি সহরের মধ্যে একজন সেরা চিত্রকর ; তোমার মন থেকে বেদন্ত্রের একখানি ছবি যদি তুমি আমাকে আঁকিয়া দিতে পায়, তবে তোমাকে আমি কত যে ধন্যবাদ দিই,.তাহ বলিতে পারি না ; কেন না, দেবদত্ত আমারও পরম বন্ধু ছিলেন। তাহা তুমি কিছুতেই পারিয়া উঠবে না, তাহ জানি ; তাহা জানিয়াও, এটা আমি মুনির্ঘাত দেবদত্তের দিব্য একখানি ছবি তোমার প্রাণের চোর-কুটুরার ছবির আলমারিতে গুছানো রহিয়াছে ; আর, সে যে ছবি, তাহা দেবদত্ত বিশবৎসর পূৰ্ব্বে যেমনটি ছিলেন, তাহারই , মতো অবিকল । তার সাক্ষী— এইমাত্র তুমি আমাকে বলিলে যে, গতরাত্রের • স্বপ্নে দেবদ কে তুমি দেখিয়াছ -ঠিক সেই বিশবংসর পূর্কের বেদ ও যেন তোমার সম্মুখে মূৰ্ত্তিমান।. ব্যাপারটা যাহা ঘটিল, তাহ বুঝিতেই পারা যাইতেছে প্রাণের অব্যক্তসংস্কার মনের বাসনাতে সোয়ার হইয়া কল্পনার রঙ্গভূমিতে দেবদত্তবেশে সাজিয়া বাহির छ्ट्रेल ! * এই বর্তমান মুহূর্তে তুমি যদি জানালার ফাক দিয়া হঠাৎ দেখ যে, একটি অৰ্দ্ধপ্রবীণগোচের পথযাত্রী বৃষ্টির ভয়ে রাস্তার ও ধারের ঐ ময়রার দোকানটার দ্বারের গোড়ায় ীিক্ষাইয়া বৃষ্টি-ধরিয়া-যাওনের অবসর প্রতীক্ষা করিতেছে, আর, তিনি যদি তোমার সেই পুরাতন বন্ধবোৰ হনু তাহ হইলে निर्णन । । বণিতে পারি যে, . { ৭ম বর্ষ ভাস, ৯৫৯৫ তৎক্ষণাং তোমার মন বলিৰে—“জয়লোকটি না-জানি কে ” ইহারি নাম জিজ্ঞাসা । তাহার , পরে তোমার গতরাত্রের স্বপ্নের প্রফুল্ল যুব সন্মুখস্থিত বিমৰ্ষভাবাপন্ন অৰ্ধপ্রবীণ ব্যক্তিটির সহিত মিশিয়ু যাইতে চেষ্টা করিবে, আর, সে চেষ্টার প্রথম উস্তমে তুমি দেবদত্তকে চেন’ চেন করিয়াও চিনিতে না পারিয়া ক্রমাগতই তাহার মুখাকৃতি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে থাকিবে ; ইহারই নাম অনুসন্ধান। তাছার পরে তুমি সেই অৰ্দ্ধপ্রবীণ ব্যক্তিটির মুখচক্ষুর আকারপ্রকার-ভাবভঙ্গীর ভিতরে কয়েকটি পূর্বপরিচিত অভিজ্ঞানচিত্ত্ব খুজিয়া পাইয় আচম্বিতে থলিয়া উঠিলে—“এ কি ! দেবদত্ত্ব যে !" ইহারই নাম অনুমান । এই যে তোমার মণেfমধ্যে জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, এবং অনুমান একটার পর আর একটা পরে-পরে আসিয়া স্বস্ব কার্য্যে কোমর বাধিয়া বসিয়া গেল— এ তো দেখিতেছি একপ্রকার গয়িবী চাল ; যে-ওস্তাদ পিছনে থাকিয়া চাল চালিতেছে, তাহাকে তো কোথাও খুজিয়া পাইতেছি না ; খুজিয়া পাইব কেমন করিয়া ? সে যে অব্যক্ত-সংস্কার ; অব্যক্তসংস্কার আপনাকে । ধরিতে ছুইতে দিবার পাত্র নহে তাং কেবল ফলেন পরিচয়তে । গতরাত্রের স্বপ্নে তোমার মনোমধ্যে বিজ্ঞাসা ছিল না, অনুসন্ধানও ছিল না ; গতরাত্রে শুদ্ধ-কেবল বাসনার মন্ত্রের চোটে অৰ্দ্ধস্কট-চেতনের ঝাপা আলোকে দেবদত্তের প্রতিমূৰ্ত্তি তোমার মনশ্চক্ষুর সম্মুখে দেখা দিয়াছিল। বাসনা অব্যক্তসংস্কারের এক ধাপ-উপরের স্তরে মৰগ্ৰন্থত পক্ষিণাবকের হার ক্ষণে ওড়ে, ক্ষণে ভূমিতে ... སྙ:རྩྭ་ kн করে,