পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] পরেশনাথ । ○g? বস্ত্রত্যাগ করিয়া থিসন হইয়াছিলেন। সুতরাং মুমুক্ষু জৈনমাত্রেরই তীর্থঙ্করগণের সেই দিশ্বসন মূর্তিরই উপাসন করা কর্তব্য। শ্বেতাম্বরসম্প্রদায় মূর্তিগুলিকে বসনাবৃত ও হীরকাদি বহুমূল্য অলঙ্কারে মুশোভিত করেন। দিগম্বরগণের মতে, এইরূপ করা অদ্যার । তীর্থঙ্করগণ যখন সংসারী ছিলেন, তখন র্তাহদের এইরূপ বেশভূষা ছিল বটে ; কিন্তু তাহাদের সেই রাজতুল্য মূৰ্ত্তির পূজা করিলে, মোক্ষলাভ সহজসাধ্য হয় না। সেই মুক্তপুরুষগণের মুক্ত অবস্থাৎ মুত্ত্বিরই পূজা করিলে মোক্ষপথে অগ্রসর হওয়া যায় এবং o 黔 মোক্ষের আদর্শ মানসচক্ষুর সম্মুখে সৰ্ব্বদা জাজ্বল্যমান থাকে । এই কারণে, দিগম্ববেরা মূর্তিগুলিকে প্রকৃচন্দন বা পুষ্পে বিভূষিত করেন না। কিন্তু শ্বেতাম্বরের এই নগ্নমূর্তির পূজার একান্ত বিরোধী। এমন কি, তাছার সাধ্যপক্ষে কখন দিগম্বরগণের মন্দিরমধ্যেও প্রবেশ করেন না । শ্বেতাস্বরগণের প্রতিষ্ঠিত মুর্তিগুলি দর্শন করিতে দিগম্বরগণের কোন আপত্তি না থাকিলেও, তাহারা তৎসমুদায়ের পূজা করেন না। এইরূপে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্নত উপস্থিত হইয়াছে । দুঃখের বিষয় এই যে, এই বিভিন্নত হইতে পরস্পরের প্রতি যথেষ্ট বিদ্বেষও উৎপন্ন হইয়াছে । পরেশনাথপৰ্ব্বত শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর এই উভয় সম্প্রদায়েরই চক্ষে অতীব পবিত্র তীর্থস্থান। পৰ্ব্বতন্থ মন্দিরসমূহে তীর্থঙ্করগণের কেবলমাত্র পাষাণময় পাদচিহ্ল থাকায় মন্দিরে পূজা করিতে কোন সম্প্রদায়েরই কোন আপত্তি নাই। কিন্তু এই সমস্ত মন্দিরের পর্য্যবেক্ষণভার খেতাম্বর

  • * t०.३ हे ६ (रु न् jर ७itइ । ऍीश३1 ६ि१স্বরগণকে এসম্বন্ধে কোন অধিকার দিতে অনিচ্ছুক । এই কারণে, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলক্ষণ মনে মালিন্তও আছে ।

পরেশনাথপৰ্ব্বতের বিশেষত্ব বুঝাইবার জন্তই আমাকে এতক্ষণ এত কথা ৰলিতে হইল পরেশনাথপৰ্ব্বত সমগ্র ভারতবাসী জৈনগণের পবিত্র তীর্থস্থান ; কিন্তু এখানে হিন্দুগণের কোন মন্দির বা তাঁধ নাই । না থাকিলেও, ইহা যে র্তাস্থাদেরও দ্রষ্টব্য, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। আমি বঙ্গদেশের মধ্যে অনেকগুলি পৰ্ব্বতসঙ্কুল স্থান দর্শন করিয়াছি ; কিন্তু উচ্চতায়, গাম্ভীর্য্যে ও সৌন্দৰ্য্যসম্পদে পরেশনাথের ন্যায় কোন পৰ্ব্বত দর্শন করি নাই। ইহা সমুত্রের উপরিভাগ হইতে প্রায় ৪৬••কীটু উচ্চ। মেঘমালা ইহার শৃঙ্গে শৃঙ্গে সংলগ্ন হইয়া, তাহাদের আকার ও বর্ণের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, মুহূর্তে মুহূর্তে পৰ্ব্বতেরও আকার ও বর্ণের পরিবর্তন সাধন করিতেছে । কখন কোন শৃঙ্গ শ্বেত মেঘপুঞ্জে সমাবৃত হইয়া, তাহাকে হিমাচলের তুষারাবৃত শৃঙ্গবিশেষের স্তায় প্রতীয়মান করিতেছে ; কখন ধূসর মেঘমালা পৰ্ব্বতগাত্রকে সমাচ্ছন্ন করিয়া, তাহাকে স্বপ্নময় রাজ্যে পরিণত করিতেছে। পৰ্ব্বতের কোন কোন অংশে পাৰ্ব্বতীয় জাতিগণের ছুইএকটি বসতি এবং এক অংশে একটি চা-বাগানপ্রাজিলেও,পৰ্ব্বতের উপরিভাগ এরুপ নীরব ও নির্বন যে, মনে হয় যেন কোলাহলময় সংসারক্ষেত্র পরিত্যাগ করিয়া সহসা কোন এক দেব উপস্থিত হইয়াছি। উপরিভাগ ייזי,