পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] গীতগোবিদের ত অর্থ স্থলর না হোকঅর্থ আছে। যে কবিতার অর্থ নাই সেরূপ কবিতা প্রথমোক্ত শ্রেণীর পাঠককে উপভোগ কৰ্ত্তে দেখা যায়—কেন না, তারা ত অর্থ থোজেন না, কারণ তাতে শ্রম ও শিক্ষা উভয়েরই প্রয়োজন।. তারা ধরেই নেন, যে কবিতাটির একটা অর্থ আছে—যদি কবিতাটির ছন্দ মধুর হয়। এরূপ পাঠক ইংলণ্ডে আছে কি না জানি না, আমাদের দেশে ত আছে জানি । আবার ঠিক্ উল্টাও দেখা যায়। সাধারণ *ॉर्टक Shelleys Epipsychidion Co. পরিমাণে উপভোগ করেন, প্রবুদ্ধ পাঠক তাহার শতগুণ উপভোগ করেন। সাধারণ পাঠক Wordsworth eqq Odc on Immortality of the Soul হযুত বুঝবেনই না । কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠক তার ভাবমাধুর্যে অভিভূত হয়ে যাবেন । কেউ যেন মনে না করেন, যে আমি মিষ্ট ছন্দোবন্ধের বিরোধী। কবিতার ভাবের উপযোগী ভাষা ও ছন্দও চাই । তবে সেটি কবিতাব রূপ। ভাবই কবিতার প্রাণ । কবিতার প্রাণ, ভাব। সেই ভাব থেকে যে অনুভূতির উদ্রেক হয় তাতেই কবিত্বের পরিচয়। সঙ্গীতের সঙ্গে কবিতার তফাৎ এই, যে সঙ্গীত একেবারে সোজা গিয়ে অনুভূতিকে জাগায়। শ্রোতা অর্থ বোঝে না, কেবল অনুভব করে। স্বরমাধুর্য্যে তার মন গলে যায় বটে, কিন্তু তার অর্থ কি তা কিছু বোঝে না, বুঝতে চায়ও না, বুঝতে চাইলেও পারে না। কিন্তু কাব্যের অমৃভূতির প্রথম ধাপ ভাৰ গ্ৰহণ বা অর্থ গ্রহণ, তুর পরে অনুভূতি । কাব্যের উপভোগ। 8x4 • কবিতা কি রকম করে অনুভূতির উদ্রেক করে তার একটা উদাহরণ লওয়া বাৰু।– রবীন্দ্রবাবুর যেতে নাহি দিব” কবিতাটিই উদাহরণ স্বরূপ নিয়ে আমার ব্যক্তব্যটি বোঝাবার চেষ্টা করব। এই কবিতাটির মূল অংশ তিন। (১) যাত্রাবু আয়োজন, (২) বিদায়, ( ৩) বিদায়াস্তে কবির মনের ভাব। প্রথম, বিদায়ের আয়োজনটি কি স্বাভাবিক। ভূত্যগণ বিছানা পত্র বাধছে ; সজলনয়না গৃহিণী আবশ্বক অনাবশুক অনেক জিনিৰ মনে করে', করে সেই বিছানাপুত্রের সঙ্গে যোগ করে দিচ্ছেন ; এদিকে “দুয়ারে প্রস্তুত । গাড়ি” ; দ্বিপ্রহর দিবার নিস্তন্ধ “রৌদ্রময়ী রাতি’।—বেশ একটি জীবন্ত প্রাকৃতিক ছবি পাওয়া গেল । কবি এ ছবিটি এমন স্বাভাবিক ভাবে একেছেন, যে বোধ হয় যেন তার বর্ণিত ব্যাপার চক্ষের সম্মুখে দেখছি। তার পরে বিদায় । গৃহিণীর কাছে বিদায় ; পরে কন্যার কাছে বিদায়। গৃহিণী সংসারাভিজ্ঞ—জানেন যে র্তার স্বামীর যেতেই হবে । কি করেন ; অঞ্চলে নীরবে অশান্ত আশ্রজলকে গোপন করে স্বামীকে বিদায় দিলেন । চারি বৎসরের কন্যাটির ব্যবহার কিন্তু ঠিক বিপরীত । সে সংসারের রীতি নীতি কিছুই বোঝে না ; সরলমতি শিশু ধারণাও কর্তে পারে না যে বিশ্বনিয়ম এত নিষ্ঠুর হতে পারে। সে বয়ে “cषाङ नांश् िश्रुि” ॥-कि श्रीडांबिक ! कि মৰ্ম্মস্পশাঁ ! 龜 * বঙ্গবন্ধুর এই পতিবিচ্ছেদ আমাদের হিন্দু পরিবারে একটি অতি করুশ, প্রাত্যহিক