একাদশ সংখ্যা । ] মনীষা । 6:86t কীৰ্ত্তি হেতু করিনি একাজ । হয় ত’ দেখামু পথ ভবিষ্যৎ নারীবৃন্দে–হ’তে পারে পূর্ণ মনোরথ তা’র যদি এ আদর্শ লক্ষ্য করি চলে। নাহি ভয়— আশা ধরি এ জীবন তুলিব করিয়া কৰ্ম্মময় – সৰ্ব্বনারী কখনই হইবে নাহুৰ্ব্বলহৃদয়— এই চিন্তা'পরে করি ভর। অসংখ্য-জীবনময় কোলাহল বিনিময়ে যদি লক্ষ বা আয়ুসহ দৈত্য জন্ম লভিতাম দুই চারি জনে, হ’ত অঙ্গে ! কি সার্থক আনন্দ সঞ্চার। হেরি' কৰ্ম্মবীজ মোর পরিণত শাপা-কাণ্ডে ফুলে-ফলে সুষমায় ভোর, ধন্য হ’ত ধরায় জীবন!” . রহিলাম মৌন নত – অস্তরে ভাবিষ্ণু শুধু কি উপায়ে হ’ব পূৰ্ণব্রত – এ কবি-নৃপসুতারে বাধিব কেমনে প্রেম-ডোর দিয়া ; অস্তুত কল্পনা মাঝে আত্মহারা সে যে ভোর হয়ে আছে । মনীষা কহিল—“বুঝি ভাবিতেছ দৈত্য কোথাকার এরা সব নারী-বেশী ? ওতে নহি অনভ্যস্ত মোরা ; কেননা এ সব দেশে অন্ধকার-কোণে-ফেরী-ঘোরাঅস্থৰ্য্যম্পশ্ব্যরূপাদিগের খৰ্ব্ব-সৰ্ব্ব-চিত্ত-ভাব,— উচ্চ আশা কিছু নাই—নাহি মাত্র বিন্দু দুঃখ তাপ দাসীত্ব স্বীকারে—জানে না তাদেরি মুক্তি আমাদের সমগ্র সাধনা ? এমন হইত—দীর্ঘ ঘোর ফের ছাড়া আত্মনাশে আশু ফল হবে,—যেমনি করিয়া হোক—দধিচির মত মহামৃত্যু এখনি’মরিয়া— বঁচোতাম নারীকুল,—জন্ম ধন্য হইত মুহীতে।” . বালী এত বলি নত কৈল শিব-যেন নিবারিতে অঙ্গ বেগ। উত্তবিম্ব অবশেদেখা হতে নদী কৃষ্ণ প্রস্তরের স্তপে আস্ফালি আস্ফালি নিরবধি । বজোগারি মোহ্বানায় যাচিছে প্রবেশ। কম্পে ঘনু ইজধস্থ শতোচ্ছ সে উদ্ধভাগে তার—অগণন
