পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○や বঙ্গদর্শন। । [१भ বর্ষ, ফাঙ্কন, ১৩১৪ پسےمصمم--مبی-م-سمسم-س--سس۔ নিয়মানুসারে, স্তায় ও সাথ্যের আবির্ভাবের পরেও, বেদান্ত পুরাতন অনাবশ্বক প্রমাণগুলি ছাড়িতে পারেন নাই। আমরা পুরাণ ছাড়িতে অক্ষম । (R - বেদান্তের মতে উপনিষদ সৰ্ব্বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। র্যাহারা আগণের (revelation) প্রামাণ্য মানেন, তাহারা সকলেই একবাক্যে আগমকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ বলিয়া মানিয়া লইতে বাধ্য। কিন্তু এ বিষয়েও একটু রহস্ত ঘটিয়াছে । আগমের প্রকৃত মত কি তাহাকিরূপে ঠিক করিব ? তুমি ‘আগম’ পড়ির একরূপ অর্থ করিলে, আমি আর একরূপ অর্থ করিলাম, ইহার কোনটী আগমের যথার্থ প্রতিপাদ্য ? নৈয়ায়িক, সাঙ্খা, বৈদাস্তিক, এবং বৈদাস্তিকের মধ্যে ও শ্ৰমং শঙ্কর, শ্ৰীমং রামানুঞ্জ, শ্ৰমং আননাতীর্থ, শ্ৰমং বিজ্ঞানভিক্ষু প্রভৃতি সকলেই আগমের প্রামাণ্য মানেন । কিন্তু প্রত্যেকেই বলেন যে, তাহার নিজকল্পিত অর্থই ঠিকৃ. অন্তান্ত অর্থ ঠিক নহে। কাজেই মুখে যিনি যাহাই বলুন না কেন, বস্তুত যুক্তিষ্ট প্রধান প্রমাণরূপে দাড়াইয়াছে। প্রথমে উপনিষৎ পড়ির যুক্তিদ্বারা তাহার অর্থ ঠিক কবিবে, পরে সেই অর্থই সত্য বলিয়া গ্রহণ করিবে । ঈশ্বরতত্ত্ব ও ব্রহ্মা গুতন্ত্ৰ ( Theology and Cosmology) . . বেদান্তী অদ্বৈতবাদী। অদ্বৈতবাদে “একমেবাদ্বিতীয়মৃ” এই সভ্যই পরম সত্য"। যদি এক ভিন্ন দুই নাই’থাকে, তবে ঈশ্বরই বা কি আর সমস্ত জীবই বা কি ? এই সঙ্গজ কথার জত,কি শের কি বিলাতী সমস্ত অদ্বৈতবাদীই নিরীশ্বর-বাদী বলিয়া অভিহিত হন। তাহীদের কথাটা سم: مجی - & খৃষ্টানের মতে, ঈশ্বর পরমাণু কৃষ্ট করিয়াছেন, এমন কি দেশও (space) সৃষ্টি করিয়াছেন। নৈয়ারিকের মতে, কিন্তু ঈশ্বর কিছুই স্মৃষ্টি করেন নাই । তিনি একজন বড় ছুতোর বা মিস্ত্রি। যেমন ছুতোর লৌহ এবং কাঠ লইয়া তাহারই বিভিন্নরূপ বিদ্যাগদ্বারা টেবল, চেয়া, নৌকা, ষ্টীমার প্রভৃতি তৈয়ার করে, তদ্রুপ নৈয়ায়িকের ঈশ্ববও চারি প্রকার পরমাণু এবং দেশ ও কাল লইয়৷ ” এই ভৌতিক ব্রহ্মাণ্ডের স্পষ্ট করিয়াছেন। আলাল, খৃষ্টানের আত্মাণ্ড স্পষ্ট পদার্থ। পুংশক্তি এবং দ্বীশক্তির সম্মিলনকালে ঈশ্বর এক একটা নূতন আত্মা সৃষ্টি করেন। নৈয়ায়িকের আত্মা কিন্তু নিত্য পদার্থ, ঈশ্বর তাহাকে সৃষ্ট করেন নাই। ঈশ্বর ও যতদিন আছেন, জীবাত্মা ও ততদিন তাঁছেন। খৃষ্ঠানের মতে, ঈশ্বরের ক্ষমতা খুব বেশী-নৈয়ায়িক এবং ভারতীয় অন্যান্ত প্রায় সকল দর্শনের মতেই ঈশ্বরের ক্ষমতা একটু কম। এইজন্য নৈয়ায়িক খৃষ্টানের নিকট নিরীশ্বরবাদী বলিয় গণা। বেদান্তের ঈশ্বরের ক্ষমতা এবং স্যায়ের ঈশ্ববের ক্ষমতা প্রায় একরূপ - এইজন্য আমরা নিরীশ্বৰ বলিয়া অভিযুক্ত। কিন্তু এ ठाङिtगां* তর্ক হে। ঈশ্বর কি ? আমরা বলি, র্যাহাকে উপাসনা করা যায়, যিনি উপাসনার ফল দিতে পারেন, যিনি সংসারের निखिा खिनिह ष्रभव ।। ७्र णमभक्ांड चैवं বেলম্বী মানেন। কিন্তু ঈশ্বরের সর্বতোমূৰী সৰ্ব্বশক্তিমত্ত মানেন না। উহ, কেহই মানেন। - খৃষ্টানের ঈশ্বরও এক এবং এক. মিলাইয়া পাচ করিতে পারেন না। ইহাতে তাহাৰ সৰ্ব্বশক্তিমত্তার হানি না হইলেীবলি