পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋদশ সংখ্যা । ] গোঁড়কাহিনী | ۹ م را সমর নৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করিয়া কালক্রমে অযোধ্যার শাসনভার লাভ করিয়া মিথিল প্রদেশ লুণ্ঠন করিয়া প্রভূত অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিলেন । তৎকালে লক্ষ্মণাবতীতে . স্বতন্ত্র রাজপ্রতিনিধি থাকায়ু, মিথিলা অতিক্রম করিয়া পূৰ্ব্বাঞ্চলে অগ্রসর হইবার সুযোগ ঘটে নাই । এক্ষণে বাদশাহের আদেশে লক্ষ্মণাবতীর উদ্ধারসাধন করিতে আসিয়া তিনি শত্রুদলন করিবার পর, লক্ষ্মণাবতীর শাসনভার গ্রহণ করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। ইহাতে উভয় রাজপ্রতিনিধির মধ্যে যুদ্ধ উপস্থিত হইল। সেকালের দিল্লীর, শাসন দুরবর্তী সুবার পক্ষে নামমাত্র শাসন বলিয়া পরিচিত না থাকিলে, এক রাজপ্রতিনিধি অন্ত রাজপ্রতিনিধির সহিত যুদ্ধকলহে লিপ্ত হষ্টতে পারিতেন না। তখনও বাহুবলই সকল তর্কের মীমাংসা করিয়া দিত। বর্তমানক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মিনহাজ উদ্দীন মধ্যস্থ হইয়া উভয় রাজপ্রতিনিধির রাজ্য কলহের মীমাংসা করিয়া দিবার পরিচয় প্রাপ্ত ठू8म्ल शांशू । মিন্‌গজের চেষ্টায় যে সন্ধি সংস্থাপিত হয়, তদনুসারে তুর্মান ধ। ধনরত্ন লইয়া দিল্লীতে প্রত্যাবৰ্ত্তন- করেন এবং তুমার খাঁ গৌড়ের শাসনভার গ্রহণ করেন। এইরূপে তুলুন খার প্রয়োদশবর্ষব্যাপী শাসনকাল Jকেবল • কলহ কোলাহলেই , অতিবাহিত হইয়া গিয়াছিল। তুমার খাঁ দশ বৎসর গৌড়রাজ্য - শাসন করিবার- চেষ্টা করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। দিল্লীশ্বর আলতমাসের পুত্ৰ নাসিরুদ্দীন মহম্মদ সম্রাট হইবার পর জালালুদ্দীন খাঁ লক্ষ্মণাবতীরাজ্যের শাসনকর্তী নিযুক্ত হইয়াছিলেন। মিনহাজের গ্রন্থ “তবকাৎ-ই-নাসিরী” এই • নাসিরুদ্দীনের নাম অমর করিয়া রাপিয়াছে। “তলকাৎ” হিজরী ৬৫৮ সাল পর্য্যন্ত ভারতবর্ষের মুসলমান শাসনের ইতিহাসু। তাহাতে প্রসঙ্গক্রমে বঙ্গদেশের কিছু কিছু বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। তাহাতেই মিনহাজের গ্রন্থ লিখিত বঙ্গবিবরণের আদিগ্রন্থ বলিয়া পরিচিত হইয়া রহিয়াছে। মিনহাজ স্বয়ং যাই পরিদর্শন করিয়াছিলেন, তাহার বিবরণ র্তাহার গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট আছে । “তাবকাৎ-ই-নাসিরী” গ্রন্থের এই শ্রেণীর বিবরণ সমধিক বিশ্বাস যোগ্য। সে বিবরণ মধ্যে কেবল বিপ্লবের পর বিপ্লব,-- সৰ্ব্বত্র কলহ কোলাহল,—সৰ্ব্বাপেক্ষা উল্লেখ যোগ্য হইয়া রহিয়াছে। তখনও মুসলমানশাসন আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারে নাই। o - শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।