পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-বৌদ্ধ-যুগ GS করিতে লাগিলেন এবং বলিলেন, “হাড়িসিদ্ধা এবং আমি উভয়েই গোরক্ষনাথের শিষ্য, সেই সম্পর্কে সে আমার গুরু ভাই, পুত্ৰ হইয়া এই ভাবে মাতৃ-চরিত্রে কলঙ্ক অৰ্পণ করিতেছে, এমন পুত্রকেও আমি হৃদয়ের রক্ত দিয়া পোষণ করিয়াছিলাম !” এমন হইতে পারে গোবিন্দচন্দ্রের অদুনা প্রভৃতি মহিষীগণ বৃদ্ধ ময়নামতীর বিরুদ্ধে এরূপ উত্তেজিত ছিলেন, যে র্তাহারা একটা মিথ্যা কলঙ্ক রটাইয়া তাহাকে অপদস্থ করিতে চেষ্টা করিয়া ছিলেন। কিন্তু “গোরক্ষ-বিজয়’ ময়নামতীর দলভুক্ত নাথ সম্প্রদায়ের লেখা। সেই পুস্তকে লিখিত আছে, যখন হাড়িসিদ্ধা পাৰ্ব্বতীর মায়ায় মুগ্ধ হইয়া প্ৰকাশ করেন—“আমি তোমার মতন রূপসী রমণীর প্ৰেমলাভ করিতে পারিলে, নীচ হাড়ির কাজ করিতেও প্ৰস্তুত আছি।” পাৰ্বতী তাহা শুনিয়া বলিলেন, “তথাস্তু, তুমি মেহেব কুলে গমন কর, তথায় রাণী ময়নামতী আমার মতই সুন্দরী, তুমি তথায় হাড়ির কাৰ্য্য করিবে, এবং উক্ত রাণীর প্ৰেমলাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইবে।” ঐ পুস্তকের অপর এক স্থানে উল্লিখিত আছে, কানফা নামক যোগীকে গোরক্ষনাথ জানাইতেছেন, যে ছাড়িসিদ্ধা ময়নামতী রাণীর সঙ্গে চরিত্র ঘটিত দোষে ধৃত হইয়া রাজা গোবিন্দচন্দ্র কর্তৃক কারাগারে প্রেরিত হইয়াছেন। সুতরাং ময়নামতীর দলভুক্ত লেখকগণ এই কলঙ্ক-কথাকে স্বীকার করিয়াছেন। অথচ এইরূপ কুলটা, পতি-হন্তারিকা, এবং পুত্র নির্বাসনকারিণী রমণীই গোবিন্দ চন্দ্রের গীতিকার শ্রেষ্ঠা নায়িকা। আমরা প্রাসঙ্গিক ভাবে তৎসম্বন্ধে পূৰ্ব্বোক্ত কথাগুলি জানিতে পারিয়াছি মাত্র। কিন্তু এই সকল গাথার সর্বত্র ময়নামতীর ও হাড়িসিদ্ধার অজস্ৰ প্ৰশংসোক্তি ; তাহাদের অলৌকিক প্রভাব ও গুণাপনাসম্বন্ধে এরূপ সকল বর্ণনা আছে, যাহা পড়িলে মনে হয়, মহাজ্ঞানের প্রভাব দেখাইবার জন্যই যেন সকল গাথার সৃষ্টি হইয়াছে। এই মহাজ্ঞানের গুরু গোরক্ষনাথ, এবং তঁহারই শিস্য যোগীগণ ভারতবর্ষের সর্বত্র এই গাথার প্রচার করিয়াছিলেন । গোরক্ষনাথ মানিকচন্দ্রের সমসাময়িক, কারণ তদীয় মহিষী তাহার শিস্যা, সুতরাং তিনি একাদশ শতাব্দীর লোক। ডাক্তাব ভাণ্ডারকার অনুমান করেন, গোরক্ষনাথ দ্বাদশ শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন,-এসম্বন্ধে আরও অনেক প্রকারের অনুমান ও মত-ভেদ আছে। ইনি মীননাথের শিস্য, কাহারও কাহারও মতে মীননাথের বাড়ী বাখর-গঞ্জে ছিল, এবং তিনি দশম শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া তাহাদের ধারণা । zYBDBDBDB DBDBD DBDBDB DBBBDDLLD KBDB sLSK K BBBS DBB gED BDDDDD স্থিরীকৃত সিদ্ধান্তই লিপিবদ্ধ করিতেছি। গোরক্ষনাথ একাদশ শতাব্দীর লোক ও তিনি পাঞ্জাবে জলন্ধর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার রচিত অনেক সংস্কৃত-পুস্তক আছে, তন্মধ্যে গোরক্ষসংহিতাই শ্ৰেষ্ঠ । গোরক্ষনাথ নাথ-সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা। যে কয়েকখানি বঙ্গীয় গোরক্ষ Ciभaश !