পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ दश्रद्धांय ७ जाश्डिJ “श्रुठ मांद्रम् ॰लां मांद्रम्७ांव्र नॉव्रम् भू* । পেট পিট চরণ সারম আর সারম বুক । পেট পিঠ চরণ সাতি মনসার ঘরে । লক্ষ লক্ষ বাণ অমুকের কি করিতে পারে। কাঙরের কমিক্ষি দেবী দিয়া গেল বীর । लालिद्र दिन ब्राज। बल यमूक श्ल। अभद्ध।” উদ্ধৃত অংশের মধ্যে প্রাচীন কতকগুলি শব্দ আছে। ‘কাঙর” কামরূপ কথার অপভ্রংশ। কামাখ্যা তীর্থ হইতে প্ৰাচীন মন্ত্র-তন্ত্রের স্রোত এক সময়ে এদেশে বহিয়া আসিয়াছিল। “কাঙুর” শব্দের সহিত ধৰ্ম্মমঙ্গল পাঠকগণ সুপরিচিত। বালী উত্তরপাড়ায় কোন অতীত যুগে বিন্দ নামক রাজা সর্পাঘাতের চিকিৎসা ও মন্ত্র তন্ত্র দ্বারা যশ অর্জন করিয়াছিলেন তাহা বলিতে পারি না-কিন্তু এই উল্লেখ যে কোন প্ৰাচীন প্রবাদের উপর দাড়াইয়া-তাহা সন্দেহ করিবার কারণ নাই । দক্ষিণাবাবুর সঙ্কলিত পুস্তকগুলির মধ্যে ঠাকুরদাদার বুলিই বিশেষ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য। এই ঝুলিতে “মধুমালা” “পুষ্পমালা” “কাঞ্চনমালা” “মালঞ্চমালা” ও “শঙ্খমালা।” এই পাঁচটি রূপকথা আছে। যেরূপ মণিগণের মধ্যে কৌস্তুভ শ্রেষ্ঠ,-“এই গল্পপঞ্চকের মধ্যে সেইরূপ মালঞ্চমালা শ্রেষ্ঠ। প্ৰত্যেকটি গল্পেই বঙ্গীয় পল্লী-লক্ষ্মীর পদাঙ্ক চিহ্ন পড়িয়া আছে ; বাঙ্গালী রমণীর হৃদয়ের অফুরন্ত স্নেহসুধা তঁহাদের অটল চরিত্র বল এবং দুশ্চর তপস্যা, তাহদের নবীন প্রেমের ত্যাগশীল সহিষ্ণুতা, লজ্জাশীলতা ও স্থৈৰ্য্য প্ৰত্যেক গল্পের মধ্যে আত্মগরিমায় প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে। বাঙ্গালী হৃদয়ে যে কি মধুৰ কবিত্বের নির্বর বহিত, তাহাদের অফুরন্ত চেষ্টার ভিতর প্রেমের কথা কিরূপ সিন্দুররাগের উজ্জ্বলতা ললাটে পরিয়া DLD DBBDBDSJDDS DB BD BBBBD BBB KDE DDSDBD BD এই সাহিত্যের কোথাও তাহার তুলনা নাই—ইহারা বঙ্গসাহিত্যের কিরীটি। পৌরাণিক যুগের সাহিত্যের মত ইহাদের মধ্যে রূপ বর্ণনাব বাহুল্য নাই,-আধুনিক সাহিত্যের মত ইহাতে প্রেমের কথা মুখে প্ৰকাশ করিবার চেষ্টা নাই। রমণীগণের প্রত্যেক কথায় নারীজনোচিন সংযম দৃষ্ট হয়,- তাহাদের প্রত্যেক উদ্যমের, প্রতিটি ত্যাগের ভিতর পল্লী-লক্ষ্মীর প্ৰেম অফুরন্ত সুধা বিতরণ করিতেছেকিন্তু অযথা মুখরতা দ্বারা সেই প্ৰেম-কাহিনী বৃথা স্ফীত হইয়া পড়ে নাই। সাহিত্যিক লিপিকুশলতা এই সকল গল্পে অত্যন্ত আশ্চৰ্য্যরূপ, দৃষ্ট হয়। রচয়িতা বিশেষণ পদ প্রায়ই ব্যবহার করেন নাই, তিনি নিজে কোনো কথা কহিয়া পাঠকের রুচি বা মানসিক ভাবকে কোনদিকে প্ৰবৰ্ত্তিত করিতে আদৌ চেষ্টা করেন না,--শুধু ঘটনার পর ঘটনা করিয়া গিয়াছেন।--তাহাতেই চরিত্রগুলি এরূপ ফুটিয়া উঠিয়াছে যে কোন সমাসের ঘটা, রূপবর্ণনার আতিশয্য বা লেখকের বক্তৃতায় তাহা হইতে পারিত না । মালঞ্চমালা যখন মালিনীকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন সে দেশে কোন বিদ্যালয়