পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-বৌদ্ধ-যুগ O আছে কিনা যাহাতে বালক চন্দ্ৰমাণিককে তিনি পাঠাইতে পারেন, মালিনী বলিতেছে-“রাজার বাড়ী পণ্ডিত কত পড়ুয়া পড়ায়, কুজো আছে, বুজো আছে, cर्शtख स्रांप्छ, श्रे ठJां९ छश्ब्रो स्रांप्छ्, ठ्यां१ांद्र ब्रांखांद्र রাজপুত্তর আছে, দিন রাত হিলিমিলি কিলিমিলি কাকহাটী না বকহাটী”। এরূপ অল্প কথায় পাঠশালার চিত্র কোথায় কি দেখিয়াছেন ? এই কথাটি মনে মনে রাখিতে হইবে, গল্পের শ্রোতা শিশুমণ্ডলী, তাহাদিগের কৌতুক বজায় রাখিতে হইবে, তাহদের সুকুমার মুখ কথায় কথায় হাসিচ্ছটায় দীপ্ত করিতে হইবে-গল্পের সূত্র সর্বদা সেই দিকে লক্ষ্য রাখিয়াছে। যখন মালঞ্চমালা তাহার আশ্রয়দাতা বাঘকে বলিল, শিশু বড় হইতেছে তাহার পড়া শুনার দরকার-এ সময়ে জঙ্গলে পড়িয়া থাকিলে চলিবে কিরূপে ? তখন বাঘ বলিতেছে-“তা লেখাপড়া শিখাও। কত পণ্ডিত আছে, সাঝি সকালে ঘোরে, হোক্কা হুয়া করে, বল একটা ধরে এনে দেই।” এই সকল কথায় ছেলেরা হাসিয়া খুন হইত। পৌরাণিক যুগের কথায় কথায় সাবিত্রী, সত্যবান, দ্রৌপদী ও সত্যভামার কথা-শপথ করিতে হইলে ইন্দ্ৰ চন্দ্র বরুণকে সাক্ষী করিতে হয়। কিন্তু পুষ্পমালার নিকট কোটালের পুত্র শপথ করিতেছে পৃথিবীকে সাক্ষী মানিয়া, কারণ “পৃথিবী পবিত্র—এখানে ফুল জন্মে। কি সুন্দর কথা, ফুলের মত পবিত্ৰত কোন ইন্দ্র বা চন্দ্রের কলঙ্কিত জীবনে পাওয়া যাইবে ? মালঞ্চমালাকে তঁহার স্বামী বড় হইবার পর এক দিনও দেখেন নাই, কিন্তু যেদিন স্বামী ঘোড়ায় চড়িয়া পরীক্ষা দিতে চলিলেন-সে। বড় বিষম পরীক্ষা, প্রাণদণ্ডের সম্ভাবনা আছে। সেদিন মালঞ্চ তাহাকে দেখা দিবার লোভসংবরণ করিতে পারিলেন না, “সেই সময়ে মালঞ্চ, সোয়ামীর হাতে ঘোড়ার রাশি তুলে দিতে গিয়া সোয়ামীর মুখের দিকে চাহিলেন, জুতার ধুলা ঝেড়ে দিতে গিয়া সোয়ামীর পায়ের ধূলা নিলেন।” এই রমণী যে প্রেমের কত তপস্যা করিয়া সংযম রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহা না জানিলে সোয়ামীর মুখের দিকে চাওয়া ও পায়ের ধূলা নেওয়ার মূল্য পাঠক কিরূপে বুঝিবে ? জীবন দান করিয়া দৈববলে জীবন পুনঃলাভ করিয়া যাহাকে কত কষ্টে মানুষ করিয়াছিলেন, সেই স্বামী যেদিন রাজকন্যাকে বিবাহ করিয়া পর হইয়া গেলেন,- যাহার জন্য প্ৰতি পদে তিনি জীবন সমৰ্পণ করিতে প্ৰস্তুত ছিলেন, তিনি যখন তাহার পরিচয়টিও পাইলেন না, তখন অশ্রু ভারাক্রান্ত চক্ষু এই সহিষ্ণুতার দেবীমূৰ্ত্তিকে আমার রাজ-দম্পতির বাসর গৃহে নীরবে প্রবেশ করিতে দেখিতে পাই। রাজ দম্পতীকে দেখিয়া মালঞ্চ প্রার্থনা করিলেন “সুখে থাইকো, সুখে থাইকো রে রাজ পুত্ৰ २८१ १छेक 6न ब्रांस कछ যদি সতীর মুখের কথা সুপ্ৰভাতে ফলে রে। বাসরের বাতি যেন সাত পুরুষে নেহালে, রাজ-ছত্ৰ যেন চৌদ্দী-পুরুষের মাথায় ছত্র ধরে।