૨ ] পুস্তক প্রণয়নকালে নানা গ্রন্থেরই সাহায্য গ্ৰহণ করিতে হইয়াছে, তৎসমস্ত উল্লেখ করার স্থাননাই। বঙ্গীয় আধুনিক লেখকগণের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষীরোদচন্দ্র রায় চৌধুরী, ত্ৰৈলোক্যনাথ ভট্টাচাৰ্য্য, অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও কৈলাসচন্দ্ৰ ঘোষ প্ৰভৃতি লেখকগণের মাসিক SyE KKBDT KKBS DaEE DJJDBD KBDS BDESBB BDDDD L LL DDDD BBBBS aBBDLDS রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের বঙ্গভাষা বিষয়ক প্ৰবন্ধ, মহামহোপাধ্যায় হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী প্ৰণীত প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্য বিষয়ক ইংরেজী পুস্তিকা ও রমেশচন্দ্ৰ দত্ত, আই, সি, এস, মহাশয়ের বঙ্গসাহিত্যের ইংরেজী ইতিহাস পাঠে বিশেষ উপকৃত হইয়াছি এই পুস্তষ্কে নানারূপ ত্রুটি দৃষ্ট হইবে। এখনও প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যের একখানা পুর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখিবার সময় হয় নাই। বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদ ও বেঙ্গল গভর্ণমেণ্ট প্রাচীন হস্তলিখিত পুথির উদ্ধার কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন ; আশা করা যায়, আর কয়েক বৎসরের মধ্যে বহুসংখ্যক প্ৰাচীন অজ্ঞাত কাব্য সুপরিচিত হইবে। বোধ হয় বলিলে অত্যুক্তি হইবে না, বঙ্গদেশে এমন পল্লী নাই, যাহাতে প্ৰাচীনকালে দুএকজন পল্লী-কবির আবির্ভাব হয় নাই, বৈষ্ণব-সাহিত্য অতি বিরাটু-লুতাতন্তুজড়িত, জীর্ণ, গলিতপত্ৰ শত শত বৈষ্ণবগ্রন্থ এখনও অজ্ঞাতভাবে পড়িয়া আছে । আর কয়েক বৎসর প্রাচীন পুথির অনুসন্ধান-চেষ্টা অব্যাহত থাকিলে প্রাচীন সাহিত্যের একখানি সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর ইতিহাস লিখিবার উপকরণ হস্তগত হইতে পারে। আমার এই পুস্তক ভাষার ভাবী ইতিহাস রচনাকালে যদি কিঞ্চিৎ আনুকুল্য করিতে সমর্থ হয়, তবেই শ্লাঘ্য জ্ঞান করিব। পুস্তক আকারে বৃহৎ হইল, এই জন্য তিন শত বৎসর পূর্বের কবি অনন্তরামের মৈত্রের পুত্র জীবন মৈত্র রচিত পদ্মপুরাণ, বিপ্ৰদাস কবি কৃত মনসামঙ্গল, চুড়ামণি দাস কৃত চৈতন্যচরিত্র এবং দ্বিজ দুৰ্গাদাস প্রণীত মুক্তালতাবলী প্ৰভৃতি পুস্তকের বিষয় গ্রন্থভাগে উল্লেখ করিতে পারিলাম না। কিন্তু ১৩০৩ সালের বৈশাখের পরিষদ পত্রিকায় শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় ‘গৌরীমঙ্গল’ নামক একখানি পুথির পরিচয় কি ? “২ তদ্বিবরণ পূর্বে অবগত না থাকায় ७श डॉक्षथ कब्रि नांछे । qश् १रडक २ १२b- ሣcif፥ ১৭৫৬ খৃঃ অব্দে ) পাকুড়ের রাজা পৃথীচন্দ্র কর্তৃক বিরচিত হয়। ইহার কবিত্ব মোটামুটি বেশ সুন্দর, কিন্তু আমরা এই কাব্যের কবিত্ব দেখাইতে আগ্ৰহাম্বিত নাহি। প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যরূপ ফুলের বনে গৌরীমঙ্গল রূপ একটি সামান্য সেউতি ফুল অদৃশ্য হইলে বিশেষু ক্ষতির কারণ নাই ; কিন্তু এই গ্রন্থের অবতরণিকায় কবি প্ৰাচীন সাহিত্যের সামান্যরূপ ইতিহাস দিয়াছেন, তাহ আবশ্যক মনে করি। সেই অংশ এই স্থানে উদ্ধৃত হইল -“সত্যযুগে বেদ অর্থ জানি মুনিগণ। সেইমত চালাইল সংসারের জন৷ ত্ৰেতাযুগে বেদ
