পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ »७ ] অর্থ জানিতে নারিল। তেকারণে মুনিগণ পুবাণ রচিল । অনেক পুরাণ উপপুরাণ হইল। দ্বাপরে মনুষ্যগণ ধারণে নারিল ৷ স্মৃতি করি মুনিগণ সংগ্ৰহ করিল। কলিযুগে তাহা লোকে বুঝা ভার হৈ’ল ৷ মতে ভাষা আশা করি কৈল কবিগণ । স্মৃতি ভাষা কৈল রাধাবল্লভ শৰ্ম্মণ ॥ বৈদ্যাক করিয়া ভাষা শিখে বৈদ্যাগণে । জ্যোতিষ করিয়া ভাষা শিখে সৰ্ব্বজনে৷ বাল্মীকি করিল ভাষা দ্বিজ কৃত্তিবাস। মনসামঙ্গল ভাষা হইল প্ৰকাশ ৷ মুকুন্দ পণ্ডিত কৈল শ্ৰীকবিকঙ্কণ। কবিচন্দ্ৰে গোবিন্দমঙ্গল বিরচন ৷ ভাগবত ভাষা করি শুনে ভক্তিমান। চৈতন্যমঙ্গল কৈল বৈষ্ণব বিজ্ঞান ৷ বৈষ্ণবের শাস্ত্ৰ ভাষা অনেক হইল। অন্নদামঙ্গল ভাষা ভারত করিল ৷ মেঘ ঘটা যেন ছটা তড়িতের পাতা। শিবরাম গোস্বামী করিল ভক্তিলতা ৷ অষ্টাদশ পৰ্ব্ব ভাষা কৈল কাশীদাস। নিত্যানন্দ কৈল পূর্বে ভারত প্ৰকাশ৷ চোর চক্ৰবৰ্ত্তী কীৰ্ত্তি ভাষায় করিল। বিক্ৰমাদিত্যের কীৰ্ত্তি পয়ার রচিল ৷ দ্বিজ রঘুদেব চণ্ডী পাঁচালী করিল। কবিচন্দ্ৰ চাের কবি ভাষায় হইল। গঙ্গানারায়ণ রগে ভবানীমঙ্গল । কিরীটমঙ্গল আদি লইল সকল ৷ এ সকল গ্ৰন্থ দেখি মন আশা হইল । গৌরীমঙ্গলের পুথি ভাষায় রচিল ॥” এখন দেখা যাইতেছে, রাধািবল্লভ-প্ৰণীত স্মৃতিগ্ৰন্থ, শিবরাম গোস্বামিকৃত ‘ভক্তিলতা', চোর চক্ৰবৰ্ত্তী প্রণীত “বিক্ৰমাদিত্যের উপাখ্যান’, ‘গঙ্গানারায়ণকৃত ভবানীমঙ্গল’ এবং কিরীটমঙ্গল’ প্ৰভৃতি পুস্তকের বিষয় আমরা কিছুই অবগত নাহি। উনবিংশ শতাব্দীর পূর্বভাগে সেগুলি বিদ্যমান ছিল, অনুসন্ধান করিলে তাহা পাওয়া অসম্ভব নহে। প্ৰবন্ধ-লেখক রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় উদ্ধত অংশে উল্লিখিত কাশীদাসের পূর্ববৰ্ত্তী নিত্যানন্দ কবির সম্বন্ধে বলিয়াছেন,—“গত চৈত্রের সাহিত্যে বাঙ্গালাসাহিত্যের ইতিহাস-লেখক শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন D BBBD DBBBD DBDDDDSDBD BB BuDDDS SDDDDB DBB DBBBDSDBBBLLTS DBDDBBBD উল্লেখ দেখিলাম না।” (পরিষদ পত্রিকা ১৩:০৩, বৈশাখ, ৫১ পৃঃ) । আমরা এই পুস্তকেও নিত্যানন্দ কবির উল্লেখ করি নাই, কিন্তু নিত্যানন্দ ঘোষ নামক এক কবির ভণিতাযুক্ত আদিপর্বের অনেকাংশ আমরা পাইয়াছিলাম, স্তুে এখন্তু একটি স্থলের ভণিতা এইরূপ, “কাম্য কবি যে শুনিল ভারত পাঁচালী । সকল আপদ SNP ৷ নিত্যানন্দ ঘোধি বলে শুন সর্বজন । আগে এই অষ্টাদশ পর্ব বিবরণ ॥” এই মহাভারতথানি এক শত বৎসর পূর্বের হস্ত লিখিত ও ইহার অধিকাংশ স্থল সঞ্জয় রচিত ; ত্রিপুরা সদরের নিকটবৰ্ত্তী রাজপাড়া নামক গ্রামে এক ধোপার বাড়ীতে আমরা এই পুথি পাইয়াছিলাম। আমি ও এসিয়াটিক সোসাইটির পণ্ডিত বিনোদবিহারী কাব্যতীর্থ এই পুস্তকের জন্য ধোপাকে ২৫ টাকা দিতে সন্মত হইয়াছিলাম, কিন্তু সে পৈত্রিক পুথি দিতে স্বীকার করে নাই; দুর্ভাগ্যক্রমে তাহার কিছুদিন পরেই গৃহদাহে এই পুথি নষ্ট হইয়া যায়।