পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় যুগ SOS দেখিবার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিব্রাজকগণ কষ্ট স্বীকার করেন কেন এবং আর্টিক সমুদ্র गशूडौी श्हेशा বরফের রাজ্য খুঁজিবার জন্য এ্যান্দ্রির মত লোক ক্ষিপ্তবৎ প্ৰাণ উৎসর্গ করিতে চান কেন ? সেইরূপ প্রাণান্ত উদ্যমের একটা স্থায়ী পুরস্কার, ও তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট একটি সুবিমল च्वाङ्म ठूल्नेि अाgछ ; यऐ সব প্রাচীন পুথি পাঠের উৎকট ধৈৰ্য্যেরও তদ্রুপ এক আকর্ষণ আছে এবং এ পথেও লোক জীবনোৎসর্গ না করিতেছে এমন নয়। অনন্ত নামক কোন কবি এই পুস্তকখানি প্রণয়ন করিয়া স্বাক্ষর ( ভণিতা) দেওয়ায় সময় নিজেকে “মুর্থ”-“মহামূঢ়” প্রভৃতিরূপে বর্ণনা দ্বারা সৌজন্যের পরাকাষ্ঠা দেখাইয়াছেন। একটি স্থলে আসামের ধৰ্ম্ম-নেতা শঙ্করের কথাও ভণিতার পূৰ্ব্বে দৃষ্ট হয়, যথা ‘জয় জয় শ্ৰীমন্ত শঙ্কর পুর্ণকাম। কীৰ্ত্তনের ছন্দোবিরচিল গুণ নাম।”-যে স্থলে অপরাপর f शिgउ 'ধুয়া” শব্দ প্ৰযুক্ত झुढे হয়, সে স্থলে, অনন্ত “ষোষা” শব্দ ও শ্রোতৃবর্গের স্থলে "সভাসদ’ শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। অনন্তরামায়ণ মূলতঃ বাল্মীকির পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া রচিত হইলেও ইহাতে আধ্যাত্মরামায়ণ ও মহানাটকেরও ছায়া পড়িয়াছে, স্বীকার করিতে হইবে, এবং কবি যতই কেন নিজের অবনতিসূচক ব্যাখ্যা দ্বারা মুৰ্থত্বের ভাণ্য করুন না, আমরা বলিতে বাধ্য, তিনি নিজে সংস্কৃত শাস্ত্রে বিশেষ পণ্ডিত ছিলেন। কোন অনর্থক বাগাড়ম্বরে তৎকৃত রামায়ণ স্ফীত হইয়া উঠে নাই, • রূপবর্ণনার আতিশয্য দ্বারা তিনি চরিত্রগুলিকে নিবিড় করিয়া তুলেন নাই। অনুবাদ মূলানুযায়ী হইয়াছে, তবে মূল কতকটা সংক্ষিপ্ত হইয়াছে; সংস্কৃতের বহ্বায়তনত্ব হইতে অব্যাহতি দিয়া তিনি অনুবাদটি সরস রাখিয়াছেন, ইহা তাহার বাহাদুরী বটে। অনন্তরামায়ণ জটিল দুরূহশব্দবহুল, কিন্তু সংক্ষিপ্ত ও কবিত্বপূর্ণ। ভাষার বন্ধুরতাহেতু সে কবিত্ব সহসা আবিষ্কৃত না হইলেও একটু ভাবিয়া পড়িলে পুথিখানি বেশ ভাল বোধ হইবে। অনন্তরামায়ণের অদ্ভুত ভাষাময়ী কাহিনীর একটু অংশ উদ্ধৃত করিতেছি। “কাহার ঝিয়ারি তুমি কাহার ঘরণী । কিবা নাম তোমার কহিবে সুলক্ষণি৷ জনকনন্দিনি মঞি নাম মোর সীতা । দশরথপুত্র হীরামবিবাহিতা। পিতৃবাক্য শুনি রাম বনে আসিলন্ত। লক্ষ্মণে সহিতে মৃগ মারিবে গৈচন্ত ৷ আসি লভ ফুল জলো পূজিবা চরণ। ক্ষণেক বিলম্ব করিয়োক মহাজন। উদবিগ্ন মনে সিতা বোলে খাঁর করি। তপসি নহিকো ময়ি জানিবা সুপারি। জগত রাবণ জাক শুনি আছ কৰ্ণে। যাহার সদৃষি বড় নাহি তৃভুবনে। হেনয়ে রাবণ আজি उहलो1 ठव *।* । স্বামীক তেজিয়া বান্ধৈ করা মোতে আধ। যত পাটেশ্বরী মোর সব তোর দাসী। জোহি খোজ সেহি দিবোঁ থাকিবে উপাসি। মানুষ রামকে বান্ধৈ দূরে পরিহর। মঞি সমে যুগে যুগে রাজ্য ভোগ কর। হেন সুনি ক্ৰোধে সিতা বলিলন্ত বাণি। দুর গুচা পাপিষ্ঠ অধম লঘুপ্ৰাণি। নিকোট গোটর তোয় এত মান সাষ। দুকর ডাকুলি হ’য়া গঙ্গা মানে যােষ। রাঘবয় ভাৰ্য্যাতে তোহাের ভৈল মন। তিখাল খান্তাত জিহ্বা ঘষস দুৰ্যন। হাতে তুলি কালকূট গিলিবাক ছাস। সপুত্র বান্ধবে পাপি হৈবি সৰ্ব্বনাষ। আনো বহুতর বাক্য বুলিলত আই। সংক্ষেপ পদত ধিক দিবেনু জুআই । আরণ্যকাণ্ড ৷ কবি যখন নিজেই বলিতেছেন, রামায়ণ সংক্ষেপে অনুবাদিত হইল, তখন উদ্ধত অংশে "তীব্রােং শু: শিশিরাপ্তংশ্চ ভয়াৎ সম্পড়তে দিবি। নিষ্কম্প M -