পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܩܝܒܚܣܡܫܡܫܡ ܩܣܒ■ -ܫܝܚܫܒܩܗܒܝܒܝ܂ >S)や दशडांवों 8 नांश्ऊिJ অবলম্বিত পুথিখানিতে প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই। কতকগুলি শব্দ দৃষ্ট একবার বোধ হয়, গ্ৰন্থকার শ্ৰীহট্ট কিম্ব তৎসন্নিহিত কোন জনপদের অধিবাসী ; “চ’ স্থলে “ছ’ ব্যবহারের জন্য আমরা চিরকাল শ্ৰীহট্টবাসী বন্ধুগণের সহিত আমোদ করিয়া আসিয়াছি, এই পুথিতে “চরণ’, ‘বচন’ স্থলে ‘বছন', “চাস’ (চাহিস) স্থলে “ছাষ’, প্রভৃতি রূপ প্রয়োগ দৃষ্ট হয়। অন্যান্য শব্দও শ্ৰীহট্ট প্রচলিত ভাষার সহিত সান্নিকট্যের পরিচয় দেয় ; তবে এ কথাও একবার মনে উদয় হয়, যে কবি না হইয়া গ্ৰন্থলেখকও শব্দের এবম্বিধ রূপান্তর করিয়া থাকিতে পারেন ;-প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যে তদ্রুপ বিকৃতির উদাহরণও আমরা বিলক্ষণ পাইয়াছি । এদিকে হিন্দী শব্দের সঙ্গেও এই পুথির ভাষার বিলক্ষণ নৈকট্য দৃষ্ট হয়, সুতরাং শ্ৰীহট্ট না হইয়া বঙ্গের পশ্চিমোত্তর প্রান্ত হইতে এই কবির উদ্ভব হওয়া বিচিত্র হইবে না। আমরা এই পুস্তকের প্রণেতাকে বঙ্গের পূর্বোত্তর কি পশ্চিমোত্তর সীমান্ত স্থিত কোন পল্লীর অধিবাসী বলিয়া গ্ৰহণ করিতে পারি। দুঃখের বিষয়, শ্ৰীযুক্ত করুণানাথ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এই পুথি কোথা হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহা একেবারে উল্লেখ করেন নাই । অনন্তরামায়ণের ভাষা জটিল ও বন্ধুর, শুধু কাব্যামোদী পাঠক দু এক পৃষ্ঠা পাঠান্তেই ক্লান্ত হইয়া সুললিত বটতলার কৃত্তিবাসী আশ্রয় করিয়া নিশ্বাস ফেলিবার অবকাশ গ্ৰহণ করিবেন, “এই বুলি মকমকে কান্দে রঘু রাই।”-( রঘুবায় ইহা বলিয়া উচৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন।) প্রভৃতি-রূপ রামবিলাপ পড়িতে ভেকের মকমকি স্মরণে পাঠক হাস্য না করিলেই রসের মৰ্য্যাদা অনেক পরিমাণে রক্ষিত হইবে। তবে বন্ধুর দুরারোহ স্থল ভ্রমণেরও একরূপ আকর্ষণ আছে তাহা না হইলে আগ্রার তাজমহল ও কলিকাতার ইডেন গার্ডেনের সুন্দর সুপ্ৰশস্ত পথ থাকিতে গোমুখীর উৎপত্তিস্থল - - rSLTS SrSSLSqASLSLSSLSLSSTSSSS SS SSLSLSTSTSS S SS LSL SS AAAASSSLSSSLSSYLL SLS LL SLLSSSqSLSLSLS LSSS qqSSSS SSqqqSq SMSSSLSSuqSqSSSL qSTSYSqSLS qASJSS S SSSLSS

  • সম্প্রতি পদ্মনাথ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আমাদিগকে জানাইয়াছেন যে, এই অনন্ত আসাম-বাসী । ইনি ‘অনন্ত কন্দলী’ নামে আসামবাসিগণের নিকট পরিচিত। ইহার রচিত রামায়ণের অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এণ্ট_ান্স পরীক্ষার জন্য পাঠ্যপুস্তকে উদ্ধত আছে। সুতরাং “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ হইতে ইহাকে বাদ দেওয়ার জন্য আমাদিগের নিকট অনুরোধ আসিয়াছে। কিন্তু যে যুগের ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস আমি লিখিতেছি, তখন আসামীভাষা বঙ্গভাষা হহঁতে পৃথক ছিল না। আজ যদি ত্রিপুরায় কিংবা শ্ৰীহট্ট তাদেশীয় প্রাদেশিক ভাষার আধিপত্য হয়, তবে সঞ্জয়, শ্ৰীকরনন্দী প্রভৃতি লেখকগণকে কখনই কি বঙ্গসাহিত্য হইতে বাদ দিতে পারি ? অথচ, প্ৰাদেশিকত্ব ধরিলে তঁহাদের রচনাও অনন্ত রামায়ণ হইতে কম দুরূহ নাহেঁ । আসামের প্রাচীন কবিগণের বিষয় আমরা সম্পূৰ্ণ জ্ঞাত নাহি। তঁহাদের বিবরণ পাইলে আমরা এ পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিতে প্ৰস্তুত আছি। আসামে অতি অল্প দিন হইল বঙ্গাক্ষর এবং বঙ্গভাষার গৌরব নষ্ট হইয়াছে। কিন্তু আসামেব ভাষাকে আমরা বঙ্গভাষার প্রাদেশিকাভেদ ভিন্ন স্বতন্ত্র ভাষা বলিয়া স্বীকার করি না।

কবি অনন্তের অপর নাম রাম সরস্বতী ; ইনি কামৰূপবাসী ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। আমরা অনন্ত কন্দলীকে এই পুস্তকে স্থান দিলেও আসামের গৌরবের দাবী করিতেছি না। চট্টগ্রামে কবি পরমেশ্বরকে আমরা যেরূপে আত্মসাৎ করিয়াছি- অনন্তকেও সেইভাবে দাবী করিব । তিনি যে ভাষায় বহী লিখিয়াছিলেন,তাহা বঙ্গদেশের পূর্বসীমান্তের ভাষা,তিনি আসামবাসী। কিন্তু বঙ্গভাষা-ভাণী, অর্থাৎ ঠাহার সময়ে আসাম- প্ৰচলিত লিপিত ভাষার সঙ্গে তৎকালীন বঙ্গীয় কবিদের ভাষার তেমন কোন পার্থক্য নাই ।