পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় যুগ 8 ዓ© হাতে তুলিকা দিয়া তাহাদের নিজ গৃহ দেখাইয়াছিলেন, তাহারা নিজ বাড়ী-ঘরের ছবি আঁকিতে যাইয়া অজ্ঞাতসারে বিশ্ব-চিত্ৰভাণ্ডারে এক অমূল্য আলেখ্য উপহার দিয়াছে। বাঙ্গালা প্রাচীন পুথির পয়ার ও ল্যাচাড়ীছন্দরূপ কয়লার খনিতে অনেকগুলি হীরককণা আমরা খুজিয়া পাইয়াছি। সাহিত্যিক আবর্জনা ঘুচাইয়া বাহিরে আনিতে পারিলে উহারা জগতের আদর-দৃষ্টিতে পড়িয়া স্বীয় মূল্য লাভ করিবার সুবিধা পাইবে। (১) (ঘ) -কাণা হরিদত্ত, বিজয় গুপ্ত, নারায়ণ দেব ও কবি জনাৰ্দন প্রভৃতি । মনসাদেবীর গীত প্রথমতঃ কাণ হরিদত্ত নামক জনৈক কবি রচনা করেন, কিন্তু দেবী তাহাতে সন্তুষ্ট হন নাই, তাই তিনি বরিশাল জেলার ফুল্ল শ্ৰী গ্রামনিবাসী বিজয়গুপ্তকে স্বপ্নে কাব্য রচনা করিতে নিযুক্ত করেন क* शनिस्रुं ७ ञि ९४९ “মুর্থে রচিল গীত না জানে মাহাত্ম্য। 89प्भ द्रbिीं शैऊ क्रां*॥ शद्रिद्ध • হরিদত্তের যত গীত লুপ্ত হৈল কালে। যোড়া গাথা নাহি কিছু ভাবে মোরে ছলে ৷ কথার সঙ্গতি নাই নাহিক সুস্বর। এক গাইতে আর গায় নাহি মিত্ৰাক্ষর । BBD DD K SBD B DDDDS দেখিয়া শুনিয়া মোর উপজে বেতাল ৷” বিজয়গুপ্তের পদ্মাপুরাণ। বিজয়গুপ্ত লিখিয়াছেন, কাণ হরিদত্তের গীত র্তাহার সময়ে একরূপ লুপ্ত হইয়াছিল। বিজয়গুপ্ত পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে হুসেনসাহার রাজত্বকালে বিদ্যমান ছিলেন। তঁহার সময়ে যে গীতি বহুকাল প্রচলিত থাকিয়া লুপ্ত হইয়াছিল, তাহ অন্ততঃ দুই তিন শত বৎসর পূর্বে বিরচিত হওয়ার ( ১ ) বেহুলার চরিত্র সম্বন্ধে y:রামগতি ন্যারস্বত্ব মহাশয় লিখিয়াছেন । , “স্ফীত গলিত কীটাকুলিত পূতিগন্ধি মৃতপতিকে ক্ৰোড়ে লইয়া নিৰ্বিকার চিত্তে ও নির্ভয় মনে বেহুলার মান্দাসে যাত্ৰা ভাবিতে গেলে সীতা, সাবিত্ৰী দময়ন্তী প্রভৃতি প্ৰসিদ্ধ সতীগণের পতিনিমিত্তক সেই সেই ক্লেশ-ভোগও সামান্য বলিয়া বোধ হয় এবং বেহুলাকে পতিব্ৰতার পতাকা বলিয়া গণ্য করিতে ইচ্ছা হয়।”: বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্ৰস্তাব, প্ৰথম সংস্করণ, ১.১৮ পৃ ; ৷