পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ዓ8 বঙ্গভাষা ও সাহিত্য সস্তাবনা। সুতরাং কাণ হরিদত্ত মুসলমান কর্তৃক বঙ্গ বিজয়ের অব্যবহিত পূর্বে র্তাহার মনসা-মঙ্গল রচনা করিয়াছিলেন, আমরা এরূপ অনুমান করিতে পারি। সংপ্ৰতি মৈমনসিংহ জেলার অন্তৰ্গত দিঘাপাইৎ গ্রামে একখানি - প্ৰাচীন মনসামঙ্গল কাব্য হইতে হরিদত্তের ভণিতাযুক্ত একটী কবিতা প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এই হরিদত্ত পূর্ববঙ্গের কবি ছিলেন বলিয়া আমাদের ধারণা। সুলেখক শ্ৰীযুক্ত দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার কর্তৃক হরিদত্তের এই পুথিখানির উদ্ধার হইয়াছে। আমরা নিয়ে কবিতাটি উদ্ধত করিলাম।

  • পদ্মার সাপ সজা ।”

“झे श८ऊद्र न शंशेल द्रव्यः मनिौ । cक*ंद्र खाऊ ठेष्कळ १ कळनांशिंनी ॥ সুতলিয়া নাগে কৈল গলার সুতলি । দেবি বিচিত্ৰ নাগে কৈল ত্ৰিদয়ে কাচুলী। সিন্দুরিয়া নাগে কৈল সিত্যের সিন্দুর। কাজুলিয়া কৈল দেবীর কাজল প্রচুর। পদ্যনাগে কৈল দেবির সুন্দর কিংকিণী। বেতনাগে দিয়া কৈলা কাকালি কাচুলী । कक नtश cकल कriद्ध bोंकेि दलि । বিঘাতিয়া নাগে দেবির পায়ের পাশুলি । হেমন্ত বসন্ত নাগে পৃষ্ঠের খোপনা। DBBBDDDD KDB D BDK DB एवभूऊ नोंन ७पि विष-भ८न b চন্দ্রসুৰ্য দুই তারা আড়ে লুকায় ৷” হরিদত্তের গীতি মনসাদেবীর মনঃপুত হয় নাই, বিজয়গুপ্তের স্বপ্ন-বৃত্তান্ত পড়িয়া আমরা ইহা জানিতে পারিয়াছি। হরিদত্তের গানে মিত্ৰাক্ষর ছিল না, তাহাতে কথার সঙ্গতি কিম্বা যতি প্ৰভৃতির কোনও আড়ম্বর ছিল না । সংস্কৃতে সুপণ্ডিত বিজয়গুপ্ত-কৃত হরিদত্তের এই দোষারোপ পড়িয়া আমাদের মনে হয়, হরিদত্তের গীতিকা একটি পালা গান (ballad) ছিল, উহাতে সংস্কৃত শব্দ ও ছন্দের প্রাচুৰ্য্য না থাকিলেও উহা যে পল্লীরসধারার নির্বর স্বরূপ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। সম্ভবতঃ একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বা দ্বাদশ শতাব্দীর প্রারস্তে হরিদত্ত বিদ্যমান ছিলেন । হিন্দু রাজত্বের শেষ সময়ে-যখন গৌড়দেশের উৎসব, সাহিত্য, এবং আমোদ প্ৰমোদ সমস্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্তে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল,-সেই সময় সম্ভবতঃ হরিদত্ত র্তাহার কাব্য লিখিয়াছিলেন। তঁহার কাব্যের