পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় যুগ SSS ১ সেই সময় হইতে আগত এক শ্রেণীর গান আমরা রংপুর, কুচবিহার ও দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে পাইতেছি।--তাহার নাম কৃষ্ণ-ধামালী ; ইহা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, এক শ্রেণীর নাম “আসল” ও অপৱ শ্রেণীর নাম “শুকুল” (শুক্ল ) । -“আসল” ধামালী গ্রামের বাহিরে গীত হইয়া থাকে,-তাহা iD SiDLY B gLBDD DBB DBB DDDBDB KK DDSS DgD DBDDSBDBB BB BDBDBD BB BDS সাধারণের রাধা-কৃষ্ণ প্রেমের কাহিনী শুনিবার তৃষ্ণা একসময়ে মিটাইয়া দিত, তাহাতে সন্দেহ নাই -প্রাচীন রাজবংশী জাতি এবং যোগীরা বাঙ্গালা দেশের নানা স্থানে সেই প্রাচীন গীতিকা এখনও রক্ষা করিয়া আসিয়াছেন । “আসল কৃষ্ণ ধামালী” সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলিবার নাই। কিন্তু শুক্লা ধামালীকে সুন্দর করিয়া, সাধু ভাষায় প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়া, কবিত্ব-মণ্ডিত করিয়া চণ্ডীদাস কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন লিখিয়াছিলেন। যদি কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন না পাইতাম, তবে বুঝিতাম না। গীত-গোবিন্দ ও কৃষ্ণ-ধামালীর পরেই হঠাৎ চণ্ডীদাসের অভু্যদয় কি করিয়া হইয়াছিল। শ্রেষ্ঠ কবি যে যুগে জন্মগ্রহণ করেন, তাহার প্রভাব হইতে তিনি মুক্ত হইতে পারেন না। তিনি বৰ্ত্তমান যুগের কবি এবং ভবিষ্যৎ যুগের নির্দেশক। তিনি স্বীয় যুগকে আঁকিতে যাইয়া হঠাৎ দিব্য সংজ্ঞা বলে ভাবী যুগের ছায়াপাত করেন। চণ্ডীদাস যে যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন তাহার প্রভাব এড়াইবেন কিরূপে ? তিনি সে যুগের বাঙ্গালাভাষার অমাজ্জিত রূপ, রুচি ও ইঙ্গিতকে তাহার রচনায় ব্যক্ত করিতে যাইয়া সহসা সুপ্তোখিতের ন্যায় ভাবী প্ৰেম-সাধনার যুগের আলো দেখিয়াছিলেন, সেই আলো তাহার লালসার মাথায় বজাঘাত করিয়াছিল, এবং সেই আলোকপাতে “তঁহার রাধা-বিরহ” অভিনব সৌন্দৰ্য্যে মণ্ডিত হইয়াছিল। “জন্মখণ্ড,” “তাশ্বল-খণ্ড”, “দানখণ্ড” “বৃন্দাবনখণ্ড”—গাহিতে গাহিতে তিনি বাদেবীর কৃপায় নূতন মন্ত্র শিখিয়া ফেলিলেন। সেই মন্ত্রের মোহিনীতে “রাধা-বিরহ” আশ্চৰ্য্যরূপ উপাদেয় হইয়া উঠিল। এখন রামীর দুল্লাভ-প্ৰেম সেই মন্ত্রের প্রেরণা দিয়াছিল কি না তাহা ভাবিবার বিষয়। শুধু তাহাই নহে, আমরা বারংবার জানিয়াছি যে চণ্ডীদাস বিজ্ঞ ও পণ্ডিত ছিলেন, তাহার ভ্রাতা নকুল আমাদিগকে তাহা বলিয়াছেন। নরহরি সরকার চণ্ডীদাস বন্দনায় তঁাহাকে “পরম পণ্ডিত” ও “সংগীতে গন্ধৰ্ব” বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু চণ্ডীদাসের প্রচলিত পদে সেই পাণ্ডিত্যের নিদর্শন আমরা বিশেষ কিছু পাই নাই। কৃষ্ণকীৰ্ত্তনে আমরা তাদৃচিত সুন্দর সুন্দর সংস্কৃত শ্লোক ( ১২৫টি) পাইতেছি, তৎকৃত গীত-গোবিন্দ ও ভাগবতের অনুবাদ পাইতেছি। সুতরাং একদিকে আমরা কৃষ্ণকীৰ্ত্তনে যেরূপ গ্ৰাম্যভাব ও ভাষার পরিচয় পাইতেছি, অপরদিকে সেইরূপ পাণ্ডিত্যের বিশেষ নিদর্শনও পাইতেছি। সেই যুগের ‘কু’। ‘সু’ दमिtउ शांश दूव्र उांश সেই भूgशन কবির নিকট আমাদের প্রত্যাশা করাই উচিত। নতুবা গীত গোবিন্দ ও কৃষ্ণ-ধামালীর সঙ্গে