পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ቁ9ጿ বঙ্গভাষা ও লাহিত্য "fs asgo (4 *If wtow \93 h. চিরদিন মাধব মন্দিরে মোর ।” প্রভৃতি পদ আবৃত্তি ফরিয়া মহাপ্ৰভু উন্মত্তবৎ এক প্রহর কাল নৃত্য করিয়াছিলেন। “জন্মম অবধি” পদ বহুবার উদ্ধৃত হইয়াছে, এখানে আর উঠাইব না। ছবি-অঙ্কন-নিপুণ, প্রেমান্ডলাদ বর্ণনায় কৃতাৰ্থ উপমা ও পরিহাস রসিকতায় সিদ্ধহস্ত বিদ্যাপতি অনেকগুলি স্বাভাবিক গুণ লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। সাধারণ পাঠক। তঁহার মনোমুগ্ধকর উপমা দৃষ্ট ঐত হইবেন, এবং ওদপেক্ষা উচ্চ শ্রেণীর পাঠক তাহার প্রেমের বিহ্বলতা ও গাঢ়তা উপলব্ধি করিয়া তঁহাকে প্ৰেমিক ও ভক্ত বলিয়া প্ৰণাম করিবেন। কিন্তু সরল মৰ্ম্মের কথা-যাহাতে প্ৰাণ উদগ্রীব হইয়া সাড়া দেয় এবং যাহার অবিসংবাদিত দাবী চোখের জলের উপর-সেরূপ কথা বিদ্যাপতি হইতে চণ্ডীদাস বেশী কহিয়াছেন। তিনি উচ্চ-শিক্ষিত হইয়াও শিক্ষার আড়ম্বর ত্যাগ করিয়াছিলেন। তদীয় গীতি-কবিতার সরস অক্ষরে কণ্টকাকীর্ণ কুসুমের ন্যায় সুধা ও বিষ-মিশ্ৰিত প্রেমের কথা একত্র গ্রথিত রহিয়াছে। কাব্যক্ষেত্রে চণ্ডীদাসপ্ৰভু কৰ্ম্মক্ষেত্রে চৈতন্য প্রভুর ন্যায় অন্য এক প্ৰেমাবতার। বিদ্যাপতির কবিতা টীকা-টিপ্পানী দিয়া ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু চণ্ডীদাসের পদ যিনি নিজে আস্বাদ করিতে না পরিবেন, তঁাহার নিকট অপরাপর বৈষ্ণব পদের সঙ্গে সেগুলি একই মূল্যে বিকাইবে, তাদৃশ পাঠক সম্বন্ধে বিদ্যাপতির কথায় বলা যাইতে পারে,- চণ্ডীদাসের শ্রেষ্ঠত্ব। “কাচ কাঞ্চন না জানিয়ে মূল। গুঞ্জা রতন করই সমতুল ৷ যো কিছু কভু নাহি কলা রস জান। নীর ক্ষীর দুহু করই সমান।” সম্প্রতি বিদ্যাপতি সম্বন্ধে কতকগুলি প্ৰশ্নসমাধানের সময় হইয়াছে, আমরা এ সম্বন্ধে আর উদাসীন থাকিতে পারি না । কয়েকবৎসর পূর্বে একটা ধারণা হইয়াছিল, যে সংস্করণে কবির ভণিতাযুক্ত অথবা প্ৰবাদ বা অনুমান মূলক কবির পদ বেশী থাকিবে-এক কথায় যে সংস্করণ যত বৃহদাকৃতি হইবে-ততই তাহা উৎকৃষ্ট হইবে। কোন সম্পাদক বিদ্যাপতির পদসংখ্যা ২০/৩০টি দিলেন, জগদ্বন্ধু ভদ্রের পর শ্ৰীয়ারসন এবং তৎপর। সারদা মিত্র পদসংখ্যা বাড়াইয়া দিলেন, তার পর অক্ষয় সরকার মহাশয় আরও কিছু উপকরণ বাড়াইয়া নৈবেদ্য সজ্জা করিলেন। কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদের পরে নগেন্দ্ৰ গুপ্ত মহাশয় অতিকায় এক সংস্করণ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। বিদ্যাপতি এবার সত্যের ক্ষেত্র হইতে অনুমানের