পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVR বঙ্গভাষা ও সাহিত্য সাঙ্গ না হওয়া পৰ্য্যস্ত অন্য কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন বাঞ্ছনীয় নহে।” সেই দুঃখের সময়েও ভক্তি-পুরিত। চিত্তে দাড়াইয়া তিনি ভাগবতপাঠ শুনিতে লাগিলেন। যেন পাহাড়ের বক্ষে অগ্নির স্রোত বহিতেছিল কিন্তু সহিষ্ণুতার প্রতিমূৰ্ত্তি ঋজু হিমাচ্ছন্ন শৃঙ্গ অন্তদাহের কিছুমাত্ৰ চিন্তু প্ৰকাশ করিল না ! কি সুন্দর ভাগবত-ভক্তি! কি সুন্দর সভা সৌষ্ঠবকারী উজ্জ্বল বিনয় । শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য অনুরুদ্ধ হইয়া ভাগবত পড়িতে লাগিলেন। শোকাকুল স্বরে, ভক্তিমাখা কণ্ঠেব আবেগে অসাধারণ পাণ্ডিত্য সহকারে শ্ৰীনিবাস যখন ভাগবত ব্যাখ্যা করিলেন, তখন বীরাহাম্বীর, ব্যাসাচাৰ্য্য প্ৰভৃতি সকলে তাহার পদে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন। অঞজলে সভামণ্ডপ প্লাবিত হইল, বিশুদ্ধ ভগবদ্ভক্তির অপূৰ্ব্ব উচ্ছাসে বনবিষ্ণুপুর স্বৰ্গপুর হইয়া উঠিল। কিন্তু বৈষ্ণবসমাজের এই উচ্চ ভাব পরে রক্ষিত হয় নাই, ক্রমশঃ এই কীৰ্ত্তি স্বীয় উন্নত গৌরবচ্যুত হইয়া শ্ৰীভ্রষ্ট হইল। পরে স্বয়ং শ্ৰীনিবাসের দেবমূৰ্ত্তিখানিতেও যেন সাংসারিকতার আবিলতা প্ৰবেশ করিয়াছিল। তিনি বীরহান্ধীরের দানে ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়াছিলেন ও পরিণত বয়সে এক স্ত্রী বৰ্ত্তমানে শুধু অনুরোধ রক্ষার্থ দ্বিতীয়বার পরিণয় করিলেন। নরহরি চক্ৰবৰ্ত্তীর উৎসাহসূচক বর্ণনা সেই স্থলে আমাদের কর্ণে বাজিয়াছে। তিনি শ্ৰীনিবাসের দ্বিতীয় পরিণয় উপলক্ষে লিখিয়াছেন-"গোষ্ঠীসহ রাজার উল্লাস আতিশয় । আচাৰ্য্য বিবাহে বহু অর্থ কৈল ব্যয় । সর্বলোক ধন্য ধন্ত কহে বারেবার।-( ভঃ রঃ) । । কিন্তু বৈষ্ণবসমাজে তখনও এরূপ ভক্ত ছিলেন, র্যাহারা তাহার এই সকল ব্যবহার অনুমোদন করেন নাই, যথা-প্ৰেমবিলাসে, গোপাল্যভট্টের সঙ্গে মনোহরদাসের কথোপকথন,- goस-स्ौतन । “বিষ্ণুপুর মোর ঘরা হয় বার ক্রোশ। রাজার রাজ্যে বাস করি হইয়া সন্তোষ । আচাৰ্য্যের সেবক রাজা বীরহান্ধীর। ব্যাসাচাৰ্য্যাদি আমাত্য পরম সুধীর। সেই গ্রামে আচাৰ্য্য প্ৰভু বাস করিয়াছে। গ্রাম ভূমি বৃত্তি আদি রাজা যা দিয়াছে। iD D BDDD DDB DDB DBBDDSS KKBS KKK BB BBD DD DDD DD DBi K DBDBD DBDBK “ፂጓፍ°ዝቫ ፮፥ማ«°ዘሻ” ቕርቛ ቕIU፵ኛዘ፯ ዘ” ইহার কিছু পূর্বে গোপাল ভট্ট, লোকনাথ প্রভৃতি আচাৰ্য্যগণ কৃষ্ণদাস কবিরাজকে তঁহাদের জীবনচরিত লিখিতে নিষেধ করিয়াছেন, ইহাদের সাংসারিকতা ও গৌরবম্পুহা একেবারেই ছিল না। বৃন্দাবনের আদর্শ বঙ্গের পল্লীতে কতকটা স্নান হইলেও ইহঁদের জীবনে ভক্তিপ্রেমের অসামান্য লীলাখেলা পরিদৃষ্ট হইত। নতুবা ইহঁাদের চেষ্টায় বড় বড় দুসু্য তস্কর উদ্ধার পাইল কিরূপে ? রাজপুত্র নরোত্তম ত চির ফকির রহিয়া গেলেন। যাহারা ভক্তির রাজ্যে দেবতা ছিলেন, পরবত্তী সময়ে তাহাদিগের দেহেও যেন সংসারিক সুখের মৃদু বায়ু বহিতে লাগিল। নরোত্তমবিলাসে দেখা যায়, জাম্বুৰীদেবী ভোজনান্তে “উষ্ণজলে।” মান