পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট tidd মিল আছে। যথা :- ধোপার পাটে ( ১২।৩০ ) “জিহবার সঙ্গেতে দাতের পীরিতি আর ছলতে কাটে” চণ্ডীদাসের “জিহবার সঙ্গেতে দাতের পীরিতি সময পাইলে কাটে”—এ দুই একবারে অনুরূপ । ধোপার পাটের “তোমার চরণে আমার শতেক পরিণাম” ( ২৪ তা: )। চণ্ডীদাসের “তোমার চরণে বঁধু শতেক পরিণাম । তোমার চরণে বঁধু লিথ আমার নাম” এ উভয়ও আক্ষরিক ভাবে মিলিয়া যাইতেছে । ঐ পালাগানটির “ঘর কইলাম বাহির রে বন্ধু পর কইলাম আপন” ( ২৪ )। চণ্ডীদাসের “ঘর করলাম বাহির, বাহির কৈলাম ঘর। পর করলাম। আপন আপন কৈত্যু পর।” এবং ধোপার পাটের “কার্ট্যা গ্যাছে কাল মেঘ চাদের উদয়। এই পথে যাইতে গেলে কুলমানের ভয় ॥” এবং চণ্ডীদাসের “কহিও বঁধুরে সখি কহিও বন্ধুরে। গমন বিরোধী হৈল পাপ শশধরে।” প্রভৃতি ও প্রায় একরূপ। জ্ঞানদাসের “ঢল ঢল কঁাচা অঙ্গের লাবণী-অবনী বহিয়া যায়”, এর সঙ্গে পালাগানের অনেক ছত্ৰেয় মিল দেখা যায়। ( পল্লী-গীতিকা দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড - ভেলুয়া (৯৪২) এবং দেওয়ান ভাবনা ২।১২ দ্রষ্টব্য । “ফুল যদি হৈ তারে বন্ধু ফুল হৈতা তুমি। কেশেতে ছাপাইয়া রাখতাম ঝাইরা বানতাম বেণী”-মহুরা ( ৮, ২২ ) পদের সঙ্গে লোচনদাসের “ফুল নও যে কেশের করি বেশ” মিলিয়া যাইতেছে। শ্যামলকুন্তলা বঙ্গভূমির চির-সুন্দর, মৃদু-মলয়-কম্পিত ধান্য-শীর্ষ-পরিপূরিত নদী সৈকতে রাখাল বালকের ৰে সুমধুর মৰ্ম্ম-স্পশী বঁাশীর সুর ভাসিয়া যায়-যে সুরের আদি উৎস-প্রেমের কথায়, ও পরিণতি প্ৰেমেয় আধ্যাত্মিকতায়-সেই বঙ্গ-পল্লীর শ্রেষ্ঠতম সম্পদ বঁাশীর গানের কথা অপূর্ব উন্মাদনাজনিত উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করিয়া মহিষাল বঁধুর পত্রে পত্রে ভাসিয়া উঠিয়াছে।--অনুরূপ কথা চণ্ডীদাসের যে কত পদে আছে STDDD BBB BD BDBBS SDBDD DBk BDD KBDBBDD DBDD StLBBBBBD DBBDDBD iDDB BDBBBD BDBB DDSDD SDDBBSYBS DBDBDS S DBYB SBDD BDDBD DBD D DBDD CD বিলাপোক্তি করিতেছেন, তাহার মাধুৰ্য্যমিশ্র কারুণ্য চণ্ডীদাসের “এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা, কেমনে আইলা বাটে। আঙ্গিনার মাঝে বঁধুয়া ভিজিছে, দেখে যে পরাণ ফাটে৷” প্রভৃতি পদ স্বতঃই স্মরণ করাইয়া দিবে, পল্লীকবি যেন চণ্ডীদাসের ভাস্য করিয়াছেন। বস্তুতঃ বৈষ্ণব পদ-কৰ্ত্তাদের অনেক কবিত্বপূর্ণ ছত্রের সঙ্গে এই সকল পালা গানের কথার আবিসম্বাদিত নৈকট্য পাঠকের নিকট স্পষ্ট হইবে । ধোপার। পাট, মহুয়া ও মহিষাল বন্ধু প্ৰভৃতি কতকগুলি পালা গানে এই নৈকট্য বিশেষরূপে প্ৰতীয়মান হইবে । কিন্তু যাহারা পল্লীগান গুলি ভাল করিয়া পড়িয়া দেখিবেন, তাহারা বুঝিতে পরিবেন। বৈষ্ণবপ্রভাব ঐ সকল গাথায় একবারে নাই। বৈষ্ণবেরা নরজগতের প্ৰেম-লীলা,--যাহ পল্লী-গীতিকার প্রতিপাদ্য বিষয়,- তাহাই আর এক ধাপ উপরে চড়াইয়া আধ্যাত্মিকতায় পোছাইয়া দিয়াছেন। পল্লীগাথার ভাষা ও ভাব স্বতন্ত্র, তাহাতে বৈষ্ণবগণের অনুকরণ আদৌ নাই।