পরিশিষ্ট ৰঙ্গদেশে সম্প্রতি যে অপূর্ব কবিত্বখনি পল্লীগাথায় আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে এ দেশ ভাবজগতে দ্বিতীয় গোলকুণ্ডার স্থান অধিকার করিবে। য়ুরোপের মণীষিবৃন্দ বঙ্গীয় অশিক্ষিত কৃষকের সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ এবং কবিত্বের মাদকতায় DD DBBDBS SYYBD DDBSBDD DEEED DDBB কবি এরূপ উচ্চাঙ্গের কাব্য-শিল্পের পরিচয় দিতে পারিয়াছেন বলিয়া আমরা জানি না । এই পল্লী-গীতিকাগুলির মধ্যে “মহুয়া” “মন্ধুব মা” ও “খোপার পাট” “কাজলরেখা,” “শ্যামরায” প্রভৃতি কয়েকটি এমন পালা-গান আছে, যাহা চতুৰ্দশ শতাব্দীতে রচিত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয়। সেগুলির মধ্যে এরূপ লক্ষণ আছে-যাহা চণ্ডীদাসের যুগচিহাঙ্কিত । DB BuDBB DBBKKB BB DDD S DDDB uBBDB SDEBD BDS DDSiSDDB প্রেমের আধ্যাত্মিকতা নাই। দুশ্চর তপস্যা আছে-কিন্তু তুলসী বা বিবপত্রের অর্ঘ্য নাই। এক কথায় সেখানে পার্থিব প্ৰেম শতদলের মত মনোলোভা হইয়া বিকাশ পাইয়াছে, কিন্তু তাহা স্বর্গের পারিজাত কুসুম হইয়া ফোটে নাই। পল্লীগীতিকার প্ৰেম বিরাট আকাশের নীচে, নীলবনান্ত প্রদেশে, রক্তপুস্পরঞ্জিত বন্যবীথিতে কংস, ধনু প্ৰভৃতি প্ৰবল নদ-সৈকতে স্বাধীন ভাবে বিকশিত হইয়াছেকিন্তু তাহা মন্দির জুড়িয়া বসে নাই। এই প্ৰেম নর-নারীর প্ৰেম, ইহা উপাস্য-উপাসকের সাধনা নহে। তথাপি এই প্রেম স্বর্গের অতি সন্নিহিত-ইহাতে যেটুকু বাকী ছিল, বৈষ্ণবেরা তাহা পূরণ করিয়াছেন। বৈষ্ণব কবিতার ললিতছন্দ, অপূৰ্ব্ব শব্দমাধুৰ্য্য, শিল্পীর কৌশলযুক্ত গাথুনি-প্রভৃতি শিক্ষালব্ধগুণ নিরক্ষর পল্লীকবি কোথায় পাইবে ? পল্লীকবির ভাষা অমাজ্জিত-কিন্তু অতি সরল, তাহার ছন্দহীন রচনা কবিত্বে ভরপুর। এই সকল নিরক্ষর কবি-অভিমানের পাদপীঠে বসিয়া-আড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতায্য নিজেদের কথাই—সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় কথা—জগজ্জয়ী কথা-বলিয়া ঘোষণা করে নাই। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা তাহদের অণুমাত্র ছিল না। তাহার। যে সকল দৃশ্য আঁকিয়াছে—তাহাতে তুচ্ছ করিবার কিছু নাই। তাহা বাঙ্গালী জাতিকে যত বড় করিয়া দেখাইয়াছে তদ্রুপ বড় করিবার সম্পদ বাঙ্গলার হাটে পথে পড়িয়া নাই। এই গীতিগুলি বাঙ্গালী জাতির চির-গৌরব। ইহাতে বাঙ্গলা দেশের থে পরিচয় আছে, সেরূপ পরিচয় আর কিছুতে নাই। কতকগুলি পালা গানের কথার সঙ্গে চণ্ডীদাস প্রভৃতি পদাবলীর শব্দসম্পদের আশ্চৰ্য্য রকমের
