পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.ভাদ্র, ১২৮৩ ] বঙ্গমহিলা । సెసి যজ্ঞ করিবার জন্য গোস্বয় গ্রহণ করিয়া তাহাকে,কন্যাদান করার নাম আৰ্য্য-বিবাহ । ইহার সহিত ধৰ্ম্মীচরণ কর, এই নিয়মে কন্যাদশন করিলে তাহাকে প্রাজাপত্য বিবাহ কহে । ਗ਼ੈਬ কহিয়াছেন, বরকে ধনদানাদি দ্বারা অমুকুল করিয়া কন্যাদান করিলে তাহাকে প্রাজাপত্য বিবাহ কহে। ইহা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় উভয় জাতিরই পক্ষে প্রশস্ত । কন্যাকে বা-কন্যাপক্ষীয়গণকে মুল্য দিয়া বর স্বেচ্ছানুসারে কন্যা গ্রহণ করিলে তাহাকে আণ সুর বিবাহ কহে । কন্যা ও বরের পরস্পর অনুরাগপ্রযুক্ত বিবাহ হইলে তাহণকে গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ বল। যায়। বলে কন্যাহরণ. করিয়া বিবাহ করার নাম রাক্ষস বিবাহ। সুপ্ত", মত্তা, প্রমত্ত স্ত্রীতে নির্জনে গমন করার নাম পৈশাচ বিবাহ । এই অষ্ট প্রকার বিবাহের মধ্যে ব্রাহ্ম-বিবাহই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ক্ষত্রি: য়েরা. গান্ধৰ্ব্ব বিধি অনুসারেও বিবাহ করিতেন, কিন্ত ব্রাহ্ম, দৈব, আৰ্য্য ও প্রাজাপত্য ব্যতীত অপরাপর বিবাহ অত্যন্ত ঘৃণিত ছিল, এবং উৎকৃষ্ট বর্ণের পক্ষেও প্রশস্ত ছিল না । মূল্য দান করিয়া বরকন্যা গ্রহণ করিলে সেই অt সুর বিবাহকে শাস্ত্রকারকেরণ অত্যন্ত নিন্দ করিয়াছেন । खैौष्य মহাভারতে কহিয়াছেন,– ব্রাহ্ম, প্রাজাপত্য ও গান্ধৰ্ব্ব এই তিন প্রকার বিবাহ মিশ্রিত হইলেও নিন্দনীয় হয় না। কিন্তু শুলক গ্রহণ করিয়া কন্যা দান করা অতি নিন্দনীয়। শুনক স্ত্রীত্ব নিশ্চয়কর নহে। এক ব্যক্তির নিকট শুলক গ্রহণমাত্র তাহাকে কন্যা সম্প্রদান করা হয় না। যদি বর কন্যাকে অলঙ্কার প্রদান করিয়া বিবাহ করে, তবে সে অলঙ্কার শুল্কমধ্যে গণ্য নহে। এবং সে বিবাহও নিন্দনীয় হয় ন} | যম কহিয়াছেন, যে ব্যক্তি ধনলোভে স্বীয় পুত্র প্রদান করে অথবা বিবাহের নিমিত্ত পণ লইয়ণ কন্যা দান করে, তাছাকে কালস্বত্ৰাখ্য ঘোরতর সপ্তনরকে নিপতিত হইয়। ক্লেদ মুত্র ও পুরীষ ভক্ষণ করিতে হয় । ভীষ্ম কহিয়াছেন, সন্তান বিক্রয়ের কথা দূরে থাকুক, পশু বিক্রয় করাও কৰ্ত্তব্য নহে । অৰ্ষ্য-বিবাহে গোমিথুন গ্রহণকে অনেকে শুলঙ্ক