পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>०२ বঙ্গমহিলা । [২য় খ, ৫ম সং , বাসীর পূর্ববন্ধুিই ধৰ্ম্মানুসারে রীতিমত কাৰ্য্য করিতে অসমর্থ হইয়াছিল। ইয়ুরোপখণ্ডের বর্তমান অনেক জাতিগণ পূর্বে আর্য ধর্মের অন্তভূতি ছিল। সগর রাজার পিতৃবধে সাহায্য করাতে সগর তাহাদিগকে ধৰ্ম্মভ্রষ্ট করিয়া ভারতবর্ষ হইতে নির্বাসিত করেন। পুরাণে আছে, “ হে রাজন, শক যবন কাম্বোজাদি জাতি ব্রাহ্মণ ওঁ-ক্ষত্রিয় ছিল। সগররাজ পিতৃবধের বৈরনির্যাতন করিবার জন্য তাহাদিগকে বধ করিতে উদ্যত হইলে, বশিষ্ঠ তাহাদিগকে বধ না করিয়া ধৰ্ম্মভ্রষ্ট করিয়া নির্বাসিত করিতে অনুরোধ করিলেন। যবন হইতে যায়ন আয়োনিয়ান বা গ্রীকের উৎপন্ন হয় । ইয়ুরোপীয় অনেক বর্তমান জাতিসমূহের উৎপাদনকারী সিথিয়ানেরা, শক মধ্যে গণ্য ছিল । এই সকল জাতির ব্রাহ্ম-বিবাহের পরিবর্তে গান্ধৰ্ব্ব ও সময়ে সময়ে পৈশাচ বিবাহের অনুকরণ করিয়া আসিতেছে।” o

  • পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্ব ও শূদ্র কন্যা, ক্ষত্রিয়ের ক্ষত্ৰিয় বৈশ্ব ও শূদ্র কন্যা, বৈশ্বের বৈশ্ব ও শূদ্র কন্যা, এবং শুন্দ্রের শুদ্রকন্যা বিবাহ করিত । কিন্তু ব্রাহ্মণগণের শূদ্রকন্যা বিবাহ অতি ঘৃণিত বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। মহু কহিয়াছেন, যদি ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব মোহবশতঃ হীনজাতি স্ত্রী বিবাহ করে, তাহা হইলে সেই স্ত্রীতে সমুৎপন্ন পুত্ৰাদি শুদ্রত্ব প্রাপ্ত হয়। ভৃগু ঋষি বলেন, উৎকৃষ্ট জাতি স্বীয় শূদ্র স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্রের পুত্র হইলে পতিত হয় । শৌনক কছেন, উহার শূদ্র স্ত্রী বিবাহ করিয়া পুজোৎপাদন করিলেই পতিত হয় কিন্তু অত্রি ও গৌতম কহেন, শূদ্র স্ত্রী বিবাহমাত্র ব্রাহ্মণাদি বর্ণ পতিত হইবে। সবর্ণ স্ত্রী বিবাহ না করিয়া শূদ্রাকে প্রথম বিবাহ করিলে ব্রাহ্মণ জাতি নরক প্রাপ্ত হয়। সমান জাতীয়া স্ত্রী বিবাছ করিতে হইলে পাণিগ্রহণ পূর্বক বিবাহ করা বিধেয় । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বিবাহকালে স্ত্রীকে শরদ্বারা ; ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্বাবিবাহকালে প্রতোদ অর্থাৎ পাচনবাড়ী দ্বারা ; ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশু, শূদ্র বিবাহকালে বস্ত্রের দশন দ্বারা শুদ্রাকে স্পর্শ করিবে ।