পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১২৮৩ । ] বঙ্গ মহিলা । b c \ס উৎকৃষ্ট বর্ণের স্ত্রীর পক্ষে অপকৃষ্ট বর্ণের পুৰুষ বিবাহ করা সম্পূর্ণরূপ নিষিদ্ধ। কিন্তু এই সকল বিষয় নিষিদ্ধ হইলেও তদ্বিৰুদ্ধে কাৰ্য্য স্কুওয়াতে ভুরি ভুরি শঙ্করজাতি উৎপন্ন হইয়াছে। পূর্বে ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্ব ও শূদ্র এই চারিজাতি ছিল । * পরে অশাস্ত্রীয় বিবাহ করাতে ত দ্বারা বর্তমান নানা জাতি উৎপন্ন হইয়াছে । এই সকল বর্ণশঙ্কর সুমুৎপন্ন হওয়াতে ভবিষ্যতে সমাজের ভাৰী বিপদ আগশাস্ক। করিয়া ঋষিগণ কলিকালে অসবর্ণ বিবাহও নিষেধ করিয়া গিয়াছেন। সবর্ণ কন্যা বিবাহ করাই ধৰ্ম্মাহু গত এবং এক্ষণে তদনুসারেই হিন্দুদিগের সর্বজাতিমধ্যে বিবাহকাৰ্য সম্পাদিত হইয়। আসিতেছে । " সবর্ণ স্ত্রী বিবাহ কর প্রশস্ত বলিয়াই যে, কেবল সবর্ণ হইলেই বিবাহ করিবেক এমত নহে। যে কন্যার মস্তকের কেশ পিঙ্গলবর্ণ, যাহার ছয় অস্কুল প্রভৃতি অঙ্গে দোষ থাকে, যে চিররেগঞ্জন্ত যাহার গাত্রে অতিশয় লোম আছে অথবা লোম নিতান্ত অপ, যাহার গলার স্বর কর্কশ ও চক্ষু পিঙ্গল বর্ণ, এমন সকল কুচিহ্নযুক্ত কন্যাকে বিবাহ করা উচিত নহে । নক্ষত্র, বৃক্ষ, নদী, স্লেচ্ছ, পৰ্ব্বত, পক্ষী, সৰ্প ও দাস ইহাদিগের নামানুসারে যে স্ত্রীর নাম রাখণ হইয়াছে এবং যাহার নাম এত প্রচণ্ড যে, সুখে উচ্চারণ করা যায় না, মনু কহিয়াছেন, তাহাদিগকেও বিবাহ করিবে না। যে কন্যার ভ্রাতা নাই, ধাৰ্ম্মিকগণ তাহাকে বিবাহ করিতে স্বীকৃত হন না । যে কন্যার দন্ত দীর্ঘ তাহারণ অসতী হয়, এজন্য তাহাদিগকে পরিণ ত্যাগ করিবে । যে কন্যার চলন অপকৃষ্ট ও পায়ের অস্কুলে ফাক থাকে এমন কন্যা ত্যাগ করা বিধেয় । জাতকৰ্ম্মাদি হীন, কেবল কন্যামাত্রের উৎপাদনকারী, সকলেই বহুলোমযুক্ত, অৰ্শ, রাজযক্ষমা, মন্দগ্নি, অপস্মার, শ্বিত্র অথবা কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত, এমন বংশে বিবাহ করিতে শাস্ত্রকারেরণ নিষেধ করিয়াছেন, কারণ তৎবংশীয় কন্যা বিবাহ করিলে তত্ত্বৎপন্ন সন্তানেরও সেইরূপ রোগ হইবার সম্ভাবনা থা২ে:কন্যা পরীক্ষার বিস্তর লক্ষণ আছে। কিন্তু সমস্ত