পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} Yo - বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৫ম সং. ডাক্তার লিবিগ বলেন, “ আমিষভোজী পশুগণ তাহদের আহারের গুণেই উদ্ভিজ্জভোজী পশুগণ অপেক্ষ অধিক সাহসী ও উগ্রস্বভাব হইয়া থাকে।” ইহা দেথা হইয়াছে যে, পশুশালায় রক্ষিত কোন ভল্লুক যতদিন কেবল ৰুটি আহার করিত ততদিন তাহার স্বভাব ধীর ও নম্র ছিল কিন্তু যে পৰ্য্যন্ত তাহাকে মাংস আহার দেওয়ণ হইল, সে নিতান্ত অপকারক ও সংঘাতক হইয়া উঠিল । বাঙ্গালীদিগের অপেক্ষণ ইউরোপবাসীগণ যে অধিক সাহসী ও সমরপ্রিয়, অগমিষ ভোজনই বোধ হয় তাহার এক প্রধান কারণ । "ইহা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, শরীরের সমস্ত পদার্থ সতত ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং এই ক্ষতিপূরণজন্য নূতন পদার্থের আবখক হওয়াতে ক্ষুধা উপস্থিত হইয়া থাকে এবং আহার গ্রহণ করিয়া আমরা এই ক্ষুধা নিবৃত্তি করি। ক্ষুধার দ্বারা আমরা বুঝিতে পারি যে, অপহার গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য এবং এই ক্ষুধায় ব্যতিব্যস্ত হইয়। আমরা আহার সংগ্ৰছ করিতে চেষ্টা করিয়া থাকি । আহারের পরিমাণ সকলের পক্ষে সমান নহে | ঋতু-পরিবর্তন, পরিশ্রম, অভ্যাস, বয়ঃক্রম প্রভৃতি কারণে ক্ষুধার তারতম্য হইয় থাকে। অন্ত কাল অপেক্ষ শীতকালে আমাদের ক্ষুধা বৃদ্ধি হয় । অলস অপেক্ষ শ্রমজীবী ব্যক্তির ক্ষুধা অধিক হইয়া থাকে । অভ্যাস বশতঃ অনেকে অধিক পরিমাণে অণহার করিতে পারে । শিশু ও বৃদ্ধ অপেক্ষ যুবাগণ অধিক পরিমাণে আহার করিয়া থাকে। ক্ষুধাই আমাদিগের আহারনির্দিষ্টের একমাত্র উপায়। ক্ষুধাশান্তি হইলে আহারে আর বড় স্পৃহা থাকে না । ধীরে ধীরে চর্বণ করিয়া আহার করিলে ক্ষুধা নিবৃত্ত হইল কি না অনায়াসেই বুঝা যায় এবং ক্ষুধাশান্তি হইলে সহজেই আহারে ক্ষান্ত পাইতে হয়। কিন্তু অtহারীয় দ্রব্য নানা প্রকার ও সুস্বাস্থ হইলে রসাম্ভব জন্য অনেকে ক্ষুধ অপেক্ষ অধিক পরিমাণে আহার করিতে রত হয়, সুতরাং অতিভোজন দোষজন্য উহ! প্রায় কষ্টকর হইয়া পড়ে। : অস্প আগছার অপেক্ষণ অতিতোজন-দোষ অধিক দেখিতে