পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b"8 . रुक्रगङ्लिा । [২য় খ, ৮ম সং। স্বাস্থ্য-রক্ষা । শিশুর খাদ্য —জীবনের অন্যান্য অবস্থার অপেক্ষ শৈশবকালে বিশেষ সাবধানত ও যত্বের সহিত শরীরপালন করা আগবশুক । অতিভোজন ও অখাদ্যভোজন বশতঃ অধিকাংশ শিশু রোগগ্রস্ত ও অকালে মৃত্যুঞ্জাসে পতিত হয়। এই নিমিত উহাদিগের আহারের প্রতি বিশেষরূপে মনোযোগী হওয়া কৰ্ত্তব্য। প্রসবের পর প্রায় তিন দিবস পৰ্য্যন্ত প্রস্থতির স্তন হইতে দুগ্ধ নির্গত হয় না । এই নিমিত্ত সদ্যোজাত শিশু মাতার স্তনদুগ্ধ হইতে বঞ্চিত হয়। এবং উহার পরিবর্তে অমর। ঐ কয়েক দিবস গাভিদুগ্ধ পান করাইয়া থাকি । শিশুদিগকে এই সময় কি আহার দেওয়া কৰ্ত্তব্য তাহ বলিবার পূৰ্ব্বে, উহাদিগকে কোন প্রকার অস্থিার দেওয়া কর্তব্য কি না। তাছ। বিবেচনা কর। অবশ্যক । প্রসবের পরক্ষণে প্রস্থতির স্তনে দুগ্ধ না থাকাতে এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে যে, যে পর্যন্ত মাতার স্তনে দুগ্ধ না আইসে সে পৰ্য্যন্ত সদ্যোজাত শিশুর পক্ষে কোন প্রকার আহার সৃষ্টিকৰ্ত্তার অভিপ্রেত নহে। যদি তাহ হইত তাহা হইলে তিনি অবশ্যই তাহার কোনরূপ ব্যবস্থা করিয়া দিতেন । গর্ভাবস্থায় পণকযন্ত্রের ক্রিয়া না থাকাতে শিশু ভূমিষ্ঠ হইবণমাত্র উহাকে আহারীয় দ্রব্য দ্বারা সহসা উত্তেজিত করিতে হইলে পীড়াদায়ক হইতে পারে। এই নিমিত ভূমিষ্ঠ হইবার পর ক্ষণকাল পর্য্যন্ত শিশুদিগকে কোন প্রকার আগাছার না দেওয়াই বিধেয় । পরে বিশুদ্ধ জল কিম্বা উহ। কিঞ্চিৎ চিনি বা মধুর সহিত মিশ্রিত করিয়া অল্প পরিমাণে দিলে পণকযন্ত্রের বিশেষ কষ্ট হইবে না। ক্রমে গাভীদুগ্ধ জলের সহিত সিদ্ধ করিয়া সেবন করাইলে উহা সহজে পরিপাক ও বলকারক হইবে । - - অনেকেরই এরূপ সংস্কার অাছে যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলেই | উহাকে কিঞ্চিৎ আহার দেওয়া কৰ্ত্তব্য নচেৎ গল। শুষ্ক হইয়া|