পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"অগ্রহায়ণ, ১২৮৩ 1] স্বাস্থ্য-রক্ষা । やV2 ক্লেশকর হইতে পারে। পাছে দুগ্ধাভাবে নবজাত শিশুর কষ্ট হয়, এই নিমিত্ত এদেশের স্ত্রীলোকের গৃহে পূর্ণগর্তা রমণী থাকিলে কিঞ্চিৎ গণতীদুগ্ধ রাত্রিকালের জন্য সঞ্চয় করিয়ণ রাখিয়া থাকেন, শিশু ক্ৰন্দন করিলেই তাছারণ দুগ্ধসেবন করান এবং ক্ৰন্দন যে ক্ষুধারই একমাত্র চিহ্ন ইহাই বিবেচনা করিয়া থাকেন । এই কুসংস্কারবশতঃ প্রস্থতিগণ তাহাদিগের নবজাত শিশুগণের কোমল পাকযন্ত্র এই গুৰুপাক দ্রব্য দ্বারা পূর্ণ করিয়। তাছাদিগকে কত ক্লেশ দেন । অপাকদোষ জন্য শিশু ক্ৰন্দন করিলে ক্ষুধার নিমিত্ত এরূপ করিতেছে স্থির করিয়া পুনরায় ঐ দুগ্ধ সেবন করাইয়ণ পূৰ্ব্বাপেক্ষ। দ্বিগুণ পীড় বৃদ্ধি করিয়া দেন এবং এইরূপ পালনে যে কত শিশু রোগগ্রস্ত ও অকালে কালগ্রাসে পতিত হয়, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না । মাতার স্তনে দুগ্ধ আসিলে, সেই দুগ্ধই শিশুর প্রকৃত অগহার । আট মাস পর্য্যন্ত শিশু স্তনদুগ্ধ পণন कक्लैिन । স্তনদুগ্ধ প্রচুর ন হইলে গাভীদুগ্ধ কিয়ৎ পরিমাণে ব্যবহার করিতে পারণ যায়। পরে র্দাত উঠিতে আরম্ভ হইলে ইহা বুঝিতে হইবে যে, ছন্ধের সহিত কিঞ্চিৎ পরিমাণে অন্য প্রকার লঘু আহার দেওয়া কৰ্ত্তব্য । এক বৎসর পরে শিশুকে স্তন ছাড়াইয়া, গাভীদুগ্ধ ও অন্যান্য খাবার অল্প পরিমাণে দেওয়া কৰ্ত্তব্য, যথা সিদ্ধ আলু, মৎস্য, গজ, মোহনভোগ ইত্যাদি । আমাদের দেশে প্রস্থতির। স্নেহবশতঃ এই নিয়মু অবহেলা করিয়া তিন চারি বৎসর বা অধিক কাল পর্যন্ত স্তন পান করাইয়ণ শিশুদিগকে রোগগ্রস্ত করেন। কোন কারণ বশতঃ মাতার স্তনদুগ্ধ হইতে শিশু বঞ্চিত হইলে উহাকে অন্য প্রস্থতির স্তনদুগ্ধ পান করান বিধেয় । তাহার অভাবে গাভী ছাগ বা গৰ্দ্দভ দুগ্ধ দ্বারা শিশুগণকে পালন করা যাইতে পারে । ইহার মধ্যে গাভীদ্বন্ধের গুণ প্রায় মাতৃস্তনহুগ্ধের ন্যায় । ইহাতে চিনি ও জলের ভাগ অপ থাকাতে কিঞ্চিৎ চিনি ও জল মিশ্রিত করিয়া ব্যবহার করণ কর্তব্য ।