পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৪ বঙ্গ মহিলা । [ ২য় খ, ৯ম সং " SSSS BBB BBB BBS BB BBBS BBB BBB BBBBBBB করিবে, ইহা ভাধিয়া মাতার প্রাণন্ত হয়। তখন পুত্ৰ দোষী কি নির্দোষী পাপী কি ধাৰ্ম্মিক ইহা ভাবিয়া মাতার যত্বের বৈলক্ষণ্য হয় না। বরং শারীরিক বা মানসিক দোষবিশিষ্ট হইলে পুত্ৰ | মাতার নিকটে বিশেষ আদর ও যত্বের পত্র হইয় থাকে I অণর কেবল পীড়িত অবস্থাতেই বা কেন, সকল সময়েই দুৰ্ব্বল বা কোন প্রকার ব্যাধিপ্রযুক্ত অসমর্থ সন্তানের মাতার নিকটে অধিক স্নেহভাজন হয়। স্বাতাবিক কোমল নারী-হৃদয় এ সকল অবস্থায় অধিকতর কোমলতা প্রকাশ করে । পিতার অপত্যস্নেহ অপেক্ষণ মাতার অপত্যস্নেহ কতদূর প্রগাঢ় দেখা যায় । পিতা সকল সন্তানদিগকে ভাল বাসেন বটে কিন্তু ইহাদিগের সকলকে সমানরূপে ভাল বাসেন না। কাহাকেও বা অধিক পরিমাণে স্নেহ করেন, কাহাকে বা তাদৃশ নহে । কিন্তু মাত সকল পুত্রকে সমানরূপে দেখেন । এটা বিশেষ গুণসম্পন্ন এ নিমিত্ত ইহাকে বিশেষরূপে ভালবাসা উচিত, এরূপ ভাব মাতার মনে উদয় হয় না । সকল সন্তানগুলিকে সমানরূপে ও আতিশয্যের সহিত স্নেহ করিতে দেখিলে মাতার হৃদয়কে | অক্ষয় স্নেহভাণ্ডার বলিয়া বোধ হয় । পতির প্রতি পত্নীর কি অসামান্য প্রণয় দেখিতে পাওয়া যায় .পতি পত্নীকে নানাপ্রকারে ক্লেশ দিয়াও তাহার প্রণয় দূরীকৃত করিতে পারে ন। পতি অশেষবিধ দুশ্চরণে প্রবৃত্ত হইলেও পত্নী তাহার প্রতি কঠিনহৃদয়ণ হইতে পারে না । কে না জানে কত কত পতি ধৰ্ম্মপথ বহির্ভত হইয়াও স্ব স্ব পত্নীদিগের হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত হইতেছেন। কিন্তু পত্নীদিগের সামান্য দোষ হইলে পতির কিরূপ আচরণে প্রবৃত্ত হয়েন। অধিক কি কোন প্রয়োজনীয় কার্ধে ব্যস্ত থাকিয়া স্বামীর প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করিতে অল্প ক্রটি হইলে স্বামী মনে মনে কীৰ্দশ বিরক্ত হয়েন । পুৰুষজাতির সকলেই এরূপ তাহ। I আমরা বলিতেছি না। অনেকেই পত্নীর প্রতি স্নেহ প্রকাশ করিতে