পৌষ, >२४७ I] রমণী-হৃদয় । >>Q পারেন ও করিয়ণ থাকেন । কিন্ত র্তাহাদিগের সংখ্যা কত অলপ পরিমাণে দৃষ্ট হয়। র্তাহাদিগের কতগুলি . স্ত্রীলোকের ন্যায় সহিষ্ণুতা দেখাইতে পারেন ? তাহার। তাহাদিগের পত্নীদিগকে ভাল বাসেন সত্য, কিন্তু র্তাহাদিগের প্রণয়ের সহিত র্তাহাদিগের রমণীগণের প্রণয় তুলনা করিলে তাহাদিগের প্রণয় অনেকাংশে এন্দ্রিয়িক বলিয়া বোধ হয় । পত্নী-বিয়োগ হইলে কত সংখ্যক সেই পত্নীদিগকে স্মরণ রাখেন ? পত্নীর মৃত্যুর অবিলম্বেই তাহাদিগের অনেকেই পুনরায় পাণিগ্রহণ করিয়া থাকেন। অনেকেই বলিবেন অণমাদিগের এরূপ করি বণর বিশেষ কারণ থাকে । অণমর | সে সকল কারণ জানিতে ইচ্ছা করিন । অণমাদিগের, বক্তব্য এই যে, তা হারণ র্ত হাদিগের পত্নী দিগকে যেরূপ ভাল বাসিতেন তাহণ র্তাহাদিগের আচরণ হইতে স্পষ্ট বুঝা যাইতে পারে । যে পত্নীকে প্রাণাপেক্ষ প্রিয়তরা জ্ঞান করিয়া তাহার মৃত্যুর অক্ষতিপরেই পুনঃ পাণিগ্রহণ করিতে যাহাদিগের ইচ্ছা হয়, তাহারণ আপন আপনি হৃদয়ের বিশেষ প্রশংসা কিরূপে করিতে পারেন, তাহণ সহজে বোধগম্য হয় না । অনেকেই বলিতে পারেন স্ত্রীলোকদিগের এরূপ পুনৰ্ব্বার বিবাহ করিবার ক্ষমতা থাকিলে র্তাহারাও স্বামীবিয়োগে এইরূপ পুনঃ পাণিগ্রহণে প্রবৃত্ত হইতেন । অণমাদিগের এরূপ বোধ হয় না । বাস্তবিক অনেক|নেক বিধবাদিগের পাতিব্ৰত্য দেখিলে সম্পূর্ণ বিপরীত বিশ্বাস হইবার সম্ভাবনা ৷ ‘ সহমরণে কত শত রমণীর ত্ব প্রাণত্যাগ করিয়াছেন । কিন্তু কোন্ পুৰুষ পত্নীর মৃত্যু সময়ে তাহার সহিত এক চিতায় আরোহণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন ? ইহাতে রমণীহৃদয়ের বিশেষ শ্রেষ্ঠতার পরিচয় দিতেছে। ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায়, যে নারীগণ পুরুষদিগের নিমিত যাদৃশ ক্লেশ স্বীকার করিয়াছে, পুৰুষেরা তাহাদিগের নিমিত্ত সেই ক্লেশের শতাংশের একাংশ ও স্বীকার করে নাই । বাস্তবিক স্বার্থপরতাশূন্য হইয়। পরোপকার করা যদি প্রকৃত
