পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× ×W বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৯ম সং* প্রণয়ের প্রধান চিহ্ন হয়, তাহ হইলে রমণী-হৃদয়ে যাবতীয় প্রকৃত প্রণয় দেখা যায়। . আপনাদিগকে কষ্ট দিয়া পিতা কি পুত্র, ভ্রাতা বা ভগিনী বা অপর জনের স্থখসাধন করিতে নারীদিগকে যেরূপ যত্ববতী হইতে দেখা যায়, তা ছ। হইতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, পুৰুষদিগের হৃদয় অপেক্ষ নারীদিগের হৃদয় অনেকাংশে অধিক কোমল । অধিক কি নারীগণ স্বভাবতঃ পুৰুষ পেক্ষ। ভীৰু ও ক্ষীণ হইয়াও বিপদের সময় অধিকতর সাহস ও ধৈর্য্য অবলম্বন করিয়া থাকে। যে সকল সময়ে অসমসাহসিক পুৰুষেও ধৈর্য্যচ্যুত ও ভয়াত্রান্ত হইয়া যায়, সেই সময়েই ভীৰুস্বভাব। নারী প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও কার্য্যদক্ষতার সুস্পষ্ট পরিচয় দেয় । রমণী-হৃদয়ের কোমলতাই তাহার কারণস্বরূপ হইয়ণ থাকে। নিকৃষ্ট প্রাণীদিগের মধ্যেও এরূপ ভাব দৃষ্ট হয় । যে সকল পশুর স্বভাবতঃ ভীৰু ও দুৰ্ব্বশ তাহাদিগেরও স্ত্রীজাতির অপত্যের নিমিত্ত প্রাণ পৰ্যন্ত বিসর্জন দিতে পারে । বৃথা বীরত্ব দেখাইতে নারীগণ ভয় পাইতে পারেন। কিন্তু প্রয়োজনাহ সারে তা হাদিগের হৃদয়ও বীররসে পরিপূরিত হইয় থাকে। দিল্লীর সমুটি আল্লাউদ্দীন চিতোর জয় করিয়া তথাকার রাজা ভীমসিংহকে কারাগারে বদ্ধ করিলে পদ্মিনীনামী চিতোরাধিপতির পত্নী স্বামীকে কারাগার হইতে মুক্ত করিবার নিমিত্ত যাদৃশ সাহস প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা ভারতবর্ষের ইতিহাস পাঠকমাত্রেই বিশেষরূপে অবগত আছেন । দুৰ্ব্বল রমণীদিগের সাহসের ও পরোপকারিতার অণর একটা দৃষ্টান্ত আমরা উল্লেখ করিতেছি । ১৮৫৪ খৃঃ অব্দে ইউরোপে ক্রাইমিয়ন ওয়ার ’ নামে এক মহাযুদ্ধ হয় । এই যুদ্ধে অনেক ব্যক্তি আহত হইয়া সমুচিত যত্ব ও পর্য্যবেক্ষণ অভাবে আতিশয় কষ্ট পাইতেছিল । ইংলণ্ডে এই সংবাদ দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষীয়ের কোন স্থচাৰু উপায় স্থির করিতে পারিল না। অবশেষে ফুেরেন্স নাইটিংগেল নামী একটা রমণী বিদেশে স্বদেশীয় লোকদিগের দাৰুণ যন্ত্রণ অনুভব করিয়া আর কতিপয় ভদ্র