পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১২৮৩ ] শিশু বিনয়ন । Y& শিশু বিনয়ন । আমাদের গৃহের বর্তমান অবস্থা স্মরণ করিলে নিতান্তই মনঃপীড়ণ জন্মে। পরিবারের অনেক ভাগই অতি দূষিত ও নিকৃষ্ট ভাবাপন্ন হইয়া রহিয়াছে। পিতা সন্তানকে শিক্ষাদানে অপটু, মাত সন্তান পালনে অক্ষম, স্বামী ভাৰ্যাকে মর্যাদা করিতে জানেন না, ভার্ষ্য স্বামিকে প্রীতি ও ভক্তি করিতে অনভিজ্ঞ, সন্তান পিতামাতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ভক্তি প্রকাশে অসমর্থ ; এইরূপ পরস্পর পরম্পরের প্রতি কৰ্ত্তব্যপালনে অক্ষম বলিয়। আমাদের গৃহ বিজাতীয় দুঃখ ও ক্লেশের আগার হইয়া রহিয়াছে। আমাদিগের গৃহের সম্পূর্ণ সংস্কার আবশ্বক । কিরূপে আমরা বাল্যকাল হইতেই শিক্ষালাভ করতঃ বয়োবৃদ্ধি সহকারে মনুষ্যত্ব প্রাপ্ত হইয়া আমাদের জীবন যাত্রা সুচাৰুরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতে পারি, ইহা শিক্ষণ করা আমাদের সর্বাগ্রে কর্তব্য । এক্ষণে অধিকাংশ বালক পিতামাতার নিকট ধনেপোর্জন প্রবৃত্তিই বিশেষরূপে শিক্ষণ করে, গৃহের কৰ্ত্ত ও গৃহিণীগণ অনেকে নানা প্রকার কুসংস্কার শিক্ষণ দিয়া, তাহণদের কোমল চিত্তকে সঙ্কুচিত ও জড়িত করিয়া ফেলেন, তাহার। অনেক দিকেই সত্য এবং ন্যায় ব্যবহারের শিক্ষ। পায় না, সুতরাং বয়সাধিক্যের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষরূপে কুটিলতা শিক্ষণ করে ও বিষম স্বার্থপর হইয় উঠে । কন্যাগণের ত কথাই নাই, অনেক পিতামাতার নিকট হইতে কি নীতিশিক্ষণ, কি বিদ্যাশিক্ষা, এ উভয় হইতেই তাহাদিগকে বঞ্চিত হইতে হয় । বালক যখন বয়ঃপ্রাপ্ত সহকারে স্বার্থপর ও ধৰ্ম্মশূন্য হইয়া দাড়াইল, কন্য। যখন কেবল শরীরের শোভা সম্পাদন ও স্বার্থসাধনই শিক্ষা করিল, তাহারণ পরিণয়স্বত্রে বদ্ধ হইয়া পরিণামে যে নুতন পরিবারের সৃষ্টি করিবে, সে পরিবার যে কেবল দুঃখ ও বিপদের নিলয় হইবে, তাহাতে আণর আশ্চৰ্য্য কি ? অতএব শিশুকে নীতিশিক্ষণ দিতে যত্ব |