পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১২৮৩ ] , বর্তমান সমাজ । , .रै ०6 অপক্ষপাতী নহি । কন্যা ও সাধ আহিলাদ কৰুকু, পুত্ৰও সাধআহলাদ কৰুকৃ, আমরা উভয়েরই সাধ আহলাদ বাসনা করিয়া থাকি ” o te কন্যাকে যে নিতান্ত মুখ ও নিন্তান্ত দীনহীনের ন্যায়ই অন্তঃপুরে বসিয়ণ থাকিতে হইবে, আমরা এরূপ ইচ্ছা করিতে পারি না । তাহারাও পুত্রদিগের ন্যায় বিদ্যাশিক্ষণ কৰুকু, তাহারাও স্বামীদিগের সহিত ভ্রমণাদি করিয়া ভোগলিঙ্গ চরিতার্থ কৰুক ঈশ্বর অবশুই এরূপ বিধান করিয়াছেন s তবে স্ত্রীরা যে স্বামীর অধীন থাকিয়। ঐ রূপ করিবে তাছাও আবার স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। অথবা স্ত্রী যদি পুৰুষের অধীন ন হইত তাহ হইলে ধরাতলের কোন না কোন ভাগে স্ত্রীদিগের সৰ্ব্বোপরি কর্তৃত্ব দেখিতে পাওয়া যাইত । -- এখন বিষম সমস্যা উপস্থিত হইয়াছে। কারণ আমরা স্ত্রীজাতির সুখসমৃদ্ধি দেখিতেও ইচ্ছা করিয়া থাকি অথচ বঙ্গ স্ত্রীদিগের স্বাতন্ত্র্য দেখিতে ইচ্ছ। করিতে পারি না। বর্তমান সময়ে বঙ্গসমাজের যেরূপ অবস্থা দেখা যায় তাহাতে স্ত্রীদিগের স্বাতন্ত্র্য কখনই বাঞ্ছনীয় নহে অথচ সমুচিত স্বাতন্ত্র্য প্রদান না করিলে স্ত্রী পুৰুষ কাছারই ভৌগলিপস। চরিতার্থ হইতে পারে না । পণ্ডিতেরা কহিয়াছেন পুৰুষ স্বভাবতঃ কঠিন, স্ত্রী কোমল । পাছে ঐরূপ কঠিনতা অধিক হইয়ণ পড়ে, এই নিমিত্ত বিশ্ব অষ্টা স্ত্রী-সহযোগে উহার অপেক্ষাকৃত কোমল ভাব রক্ষণ করিয়া থাকেন। কিন্তু বর্তমান বঙ্গসমাজে যে ঈশ্বরের ঐক্লপ উদ্দেশু রক্ষিত হইতেছে না, আমাদিগকে অবশ্যই তাহ স্বীকার করিতে হইবে। কারণ স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যাইতেছে যে, স্ত্রী-সাহচৰ্য্য আমাদের যথাস্থলে রক্ষিত হইতেছে না । পাঠক অবশুই অনুভব করিতেছেন যে, স্ত্রীদিগের কিয়ৎপরিমাণ স্বাতন্ত্র্য ছুই কারণে অবিশ্বক করে । প্রথম কারণ, উহাদের নিজের আমোদ বিধান এবং দ্বিতীয় কারণ, পুৰুষের কোমল