পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘পৌষ, ১২৮৩ ] বর্ণমাগণের রচনা । रे ०६> বিষয় এই যে, যে জল আমাদের শরীরের জীবনস্বরূপ এবং যাহার বিশুদ্ধত্ত্বর উপর আমাদিগের স্বাস্থ্য নির্ভর করে তাহা বিশুদ্ধাবস্থায় প্রায় পাওয়া যায় না । পুষ্করিণীর আবদ্ধ জল অপেক্ষ স্রোতাবহ নদীর জল অনেক ভাল । পল্লীগ্রামের কোন কোন দীঘি বা পুষ্করিণীর জল ভাল হইতে পারে কিন্তু জলে নানাপ্রকার দুষিত পদার্থ মিশ্রিত থাকায় উহাকে যন্ত্রের দ্বারা উত্তমরূপে বিশোধিত করিয়া ব্যবহার করিতে পারিলে বিশেষ উপকারী ও স্বাস্থ্যকর হইতে পারে। যে সকল পুষ্করিণী বৃক্ষাচ্ছাদিত নহে এবং যাহার তল। বালুকাময় তাহার জল প্রায় বিশুদ্ধ হইয়া থাকে। কিন্তু মনুষ্যেরদ্বারা অধিক ব্যবহৃত হইলে উহণও ক্রমে দূষিত হইয় পড়ে। জৈাতের উত্তম জল ও বর্ষাকালে নানাপ্রকার দ্রব্যের দ্বারা মিশ্রিত হইয়ণ অপরিস্কার হয় । সমুদ্রের বা উহার নিকটবতী নদীর জল অধিক লবণাক্ত বলিয়া ব্যবহার্য্য নহে । জল বিশুদ্ধ করিতে হইলে উহণ বালুক ও কাষ্ঠের কয়লার মধ্য দিয়া প্রবেশ করাইতে হয় । এই বালুক। ওকয়লার ভিতর দিয়া গমনকালে জলের দুষিত অংশ সকল উহাতে আকৃষ্ট হইয়া যায়, এবং জল বিশুদ্ধ হয়। এই প্রণালীতে কলের দ্বারা জল প্রস্তুত করিয়া এক্ষণে কলিকাতা ও অন্যান্য নগরীতে ব্যবহৃত হইতেছে। আমরা এই বিশোধিত জলকে কলের জল বলিয়া থাকি এবং ইহা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর । বামনগণের রচন। } আর কেন ? অণর কেন প্রিয় সখি কপনে অামার অগসিতেছ দুখিনীরে দিতে দরশন বহুদিন করি নাই আলাপ তোমার তাই কি চিন্তিত ছ’য়ে করিছ গমন ।