পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১২৮৩ । ] স্বাস্থ্য-রক্ষণ । ')ని > না কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক পা চলিলে বা একটা কথা কহিলেও আমাদের শরীরের কিছু না কিছু ক্ষয় হয়। কেবল যে ইচ্ছামৃগত অঙ্গচালনা প্রভৃতি ক্রিয় দ্বারাই আমাদের শরীর ক্ষয় হয় এমত নহে, শরীরের স্বাভাবিক কতকগুলি ক্রিয়া আছে, যথা শ্বাস, প্রশ্বাস, রক্ত-সঞ্চালন, পাকক্রিয় ইত্যাদি, যাহার দ্বারাও শরীরের স্বক্ষম পদার্থ সকল ক্রমে ক্ষয় প্রাপ্ত হয় । শেষোক্ত ক্রিয়া সকল আমাদিগের ইচ্ছাধীন নছে এবং অজ্ঞাতভাবে সৰ্ব্বদাই সাধন হইয়া থাকে, নিদ্রাবস্থায়ও ক্ষান্ত নহে। যত আমরা চিন্তা করি, ততই আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষয় হয়। যদ্যপি প্রাতঃকালে নিদ্রাভঙ্গের পর শয্যা ত্যাগান্তে কোন ব্যক্তিকে ওজন করা যায় এবং তৎপরে তিন চারি ঘণ্টা পরিশ্রমের পর আহ!-- রের পূৰ্ব্বে সেই ব্যক্তিকে পুনৰ্ব্বার ওজন করিয়া দেখিলে, উভয় গুৰুত্বের অনেক বিভিন্নত দৃষ্ট হইবে। প্রথম ওজন অপেক্ষণ | শেষ ওজন অনেক কম হইবে, তাহার কারণ অঙ্গচালনা, চিন্তা প্রভৃতি নানা শারীরিক ক্রিয়া দ্বারা ঐ তিন চারি ঘণ্টার মধ্যে শরীরের অনেক ক্ষয় হইয়াছে। ক্ষয়ভাগ নানা উপায়ে শরীর হইতে বহির্গত হয়, যথা, কতকগুলি ফুসফুস দ্বারা নিশ্বাসিত বায়ুর সহিত নির্গত হয়, কতক মূত্রাশয় দ্বারা মূত্রের সহিত এবং কতক চর্মের দ্বার ঘর্মের সহিত ইত্যাদি । এইরূপেণ ২৪ ঘণ্টণর মধ্যে একজন সবল ব্যক্তির শরীর হইতে ৩ বা ৩০ সেরের মধ্যে ক্ষয় পদার্থ নির্গত হয় । অতএব এইরূপ সৰ্ব্বদা ক্ষয় দ্বারা আমাদের শরীর নিশ্চয়ই শীঘ্র শীর্ণ হইয়। যাইত যদ্যপি ঐ ক্ষতিপূরণের কোন উপায় নির্দিষ্ট না থাকিত । নিত্য নূতন দ্রব্য শরীর মধ্যে গ্রহণ না করিলে এই ক্ষতিপূরণের আর অন্য উপায় নাই। খাদ্য এবং পানীয় দ্রব্য সকল শরীর মধ্যে গ্রহণ করিবার কৌশল থাকাতেই, ঐ সকল দ্রব্য পাকস্থলীতে গৃহীত হইয়া, শরীরের পুষ্টি সাধন করে। বায়ুর জীবনীভাগ অম্লযান বায়ু যাহা আমরা নিশ্বাস দ্বারা শরীর মধ্যে গ্রহণ করি, তাহাও উক্ত ক্ষতিপূরণের |