পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ, ১২৮৩ ]] e স্ত্রী-স্বাধীনতা । - Rソ> অংশে বিভিন্ন, সুতরাং তাহাদের সামাজিক অবস্থাও যে বিভিন্ন হইবে তাহ অনায়াসেই বুঝিতে পারা যায় । বলপূর্বক স্ত্রীপুৰুষের সামাজিক অবস্থা সমান করিতে যাইয়। অনর্থক স্বভাবের সহিত যুদ্ধ করিবার প্রয়োজন কি ? আর এক কথা, সমাজের স্বশৃঙ্খলত। রক্ষার্থে সকলেরই আপনার আপনার সীমার মধ্যে বদ্ধ থাকা উচিত; আপনার সীম৷ অতিক্রম করিয়া অপরের সীমায় বল পূর্বক প্রবেশ করিলে সামাজিক বিপৰ্য্যয় অবশুম্ভাবী। তন্নিবন্ধন যিনি ঘুে কার্ঘ্যের নিমিত্ত নির্দিষ্ট র্তাহার সেই কাৰ্য্যই কর্তব্য, আপনার কার্য্য পরিত্যাগ করিয়া অপরের অংশ গ্রহণ করিবার প্রয়াস কেবল সামাজিক অনর্থের হেতু । এই প্রকার কার্য্যবিভাগ সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষণ করিবার প্রধান উপায় । যদি দেশের সকলেই বীরব্রত গ্রহণ করিয়া সমরাঙ্গণে দ গুণয়মান হইত, সুমন্ত্রণ প্রদান কুরিয়া দেশের মুনিয়ম রক্ষণ কদাপি সম্ভব হইত না। অথবা যদি সকলেই মন্ত্রী হইতেন তবে শক্রশোণিতে মেদিনী রঞ্জিত করিয়া কে দেশের স্বাধীনতা রক্ষণ করিত ? এই নিমিত্ত কেহ রাজা, কেহ প্রজ, কেহ মন্ত্রী, কেহ যোদ্ধা, হওয়া আবশ্বক। এই নীতিতত্ত্ব আলোচনা করিলেই স্ত্রীপুৰুষের সামাজিক অবস্থা বৈষম্যের আবশ্বকতা সহজেই উপলব্ধ হইতে পারে । পুৰুষ স্বভাবতঃ উগ্র ও কঠোর, তিনি র্তাহার স্বভাবোপযোগী কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকুন, নীরস রাজনীতির গভীর অধ্যয়নদ্বার সুশাসন সংস্থাপন কৰুন, অর্থে পার্জন করিয়! পরিবারের ভরণপোষণ কৰুন, কঠিন বিজ্ঞানের অালোচন৷ করিয়া বৈজ্ঞানিকু অদ্ভুত ক্রিয়াদ্বারা দেশের হিতসাধন কৰুন । পক্ষান্তরে স্ত্রীগণ স্বভাবতঃ কোমল ও মাধুৰ্যময় ; উগ্রতা, কঠোরত। তাছাদের অভিধানে নাই ; বাস্তবিক বঙ্গমহিলাকে দেখিলেই বোধ হয় যেন স্নেহ, দয়া, শ্রদ্ধা প্রভৃতি মুকোমল ভাব সকল মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন। স্ত্রীগণ আপনাদের স্বভাৰোপযোগী কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিলেই প্রকৃতি স্বাধীনতা সম্ভোগ