পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন, ১২৮৩ ৷] স্ত্রী ও পুৰুষ । Հ8> স্ত্রী ও পুরুষ। স্ত্রী শু পুৰুষের মধ্যে.যেমন শরীরগত বিশেষ বৈল ক্ষণ্য আছে, সেইরূপ মানসগত একটা আশ্চর্ঘ্য প্রভেদ দৃষ্ট হয় । যেমন একই মূল উপাদানে গঠিত হইয়া ও শরীরের অবয়ব সম্বন্ধে নরনারীর স্বাভাবিক প্রভেদ রহিয়াছে, নরনারীর হৃদয়, মনের বৃত্তি ও শক্তি সম্বন্ধেও সেইরূপ একটা বিশেষ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। মানসিক সকল বৃত্তিই, হৃদয়ের সকল ভাবই নরনারী উভয়েরই প্রকৃতিতে প্রস্ফুটিত আছে। কিন্তু এইরূপ অভিন্নত সত্বেও যে মানসিক বৃত্তি ও হৃদয়ের ভাবনিচয়ের প্রকার ও পরিমাণসম্বন্ধে নরনারীর প্রকৃতিতে যে বিশেষ তারতম্য অাছে, তাহণ নিতান্ত স্কুলদশী ব্যক্তিও অবলোকন করিতে পারে । পুৰুষ কঠোর, স্ত্রী প্রেমময় ; পুৰুষ ক্লেশ সহিষ্ণু, স্ত্রী কোমলা ; পুৰুষ, নিভীক, স্ত্রী ভীৰুস্বভাব। মমৃষ্যের মনের ভাব সমুহের মধ্যে যেগুলি কোমল ভাবাপন্ন, সেইগুলি নারীর হৃদয়ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভূত হয়। বিনয়, দয়া, স্নেহ, মমতা, শালীনতা ইত্যাদি স্নিগ্ধ ও কমনীয় গুণরাজি ই স্ট্রীহৃদয়ে প্রত্যক্ষ • হয়। সাহস, নিভীকতা, বুদ্ধির প্রাথর্ধ্য ইত্যাদি কঠোর গুণসমূহ পুৰুষে পরিলক্ষিত হয় । পুৰুষের জ্ঞান যেমন অধিক বলবানু, স্ত্রীলোকের হৃদয় সেইরূপ অধিক প্রশস্ত, কোমল ও মাধুর্যময়। বুদ্ধিসামর্থ্যে কণীয়সী হইয়াও হৃদয়াংশে নারী পুৰুষাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । পুৰুযের পক্ষে যে কোমল গুণসমূহ অবাঞ্ছনীয় তাহণ নহে, তবে পুৰুয়ে ইহাদের অভাব একদা ক্ষমাযোগ্য, স্ত্রীগণে তাহ অমার্জনীয়। . অনেকে বলেন যে, স্ত্রীপুৰুষে প্রকৃতিগত যে বৈষম্য দৃষ্ট হয়, ত;হণ অনেকটা সমাজের দোষে । পুৰুষ-প্রকৃতির সহিত নারীপ্রকৃতির কিছু প্রভেদ নাই, কেবল বল বান্‌ পুৰুষগণ ই আদিম কাল হইতে স্ত্রীগণকে অধীনতা শৃ স্থলে বদ্ধ করিয়া আসিয়াছে ৰলিয়। তাছাদের স্বাভাবিক শক্তি প্রস্ফুটিত হইতে পারে নাই।