পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रें8रे e বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ১১শ সংপ চিরকাল পুৰুষদিগের নিতান্ত অধীন থাকাতে নারীজাতির যথার্থ প্রকৃতি বিকাশ পায় নাই। চিরাভ্যস্ত অধীনতা ও পরবশত নিবন্ধনু, তাহাদিগের স্বাভাবিক ভাব বিকৃত হইয়। গিয়াছে। যাহার এইরূপ আপত্তি করেন তাহাতে যে কিছু মাত্র সত্য নাই তাহ আমরা বলিতে চাছি না। যেরূপ অবস্থাপন্ন হইয়া পুৰুষের উন্নতি লাভ করিয়াছে, সেইরূপ অবস্থাপন্ন হইলে যে স্ত্রীগণ অনেক বিষয়ে পুৰুষের সমকক্ষ হইতে পারে না, তাহ আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে ক্ষে নরনারীর মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য আছে, তাহ অবশ্যই স্বীকার-করিতে হইবে। আদিম অবস্থা হইতে পুৰুষ বল বানু, স্ত্রী অবলা ; শারীরিক প্রাবল্য বশতঃ পুৰুষদিগের প্রাধান্য ছিল ও স্ত্রীদিগকে তাহাদের বশ্যতা স্বীকার করিতে হইত। অাদিম অবস্থায় পুৰুষের যুদ্ধ বিগ্রহে সৰ্ব্বদ ব্যাপৃত থাকিত ; ঈশ্বর স্ত্রীজাতিকে তাদৃশ সামর্থ্য দেন নাই বলিয়া তাহাদিগকে কাজে কাজেই পুৰুষদিগের অধীনে থাকিতে হইত। কিন্তু পুৰুষদিগের অধীনে থাকিয়াও যে স্ত্রীলোকের তাহাদের উপর কোন ক্ষমতা ছিল না তাহণ বলা যায় না । পুৰুষের কঠোর স্ব ভাবকে স্ত্রীগণ প্রকৃতিদত্ত • কোমল গুণে অনেকটা সংষমিত করিত ; তাহণদের ক্ষমতা সকল সময়েই পুৰুষদিগকে স্বীকার করিতে হয়। দেখা যাইতেছে যে, পুরুষজাতি উগ্র ও কঠোর প্রকৃতি, স্ত্রীগণ স্নিগ্ধ ও কমনীয় ভাবের অণধার ; শারীর বীর্ষ্যে ও বুদ্ধি প্রাথর্ধ্যে পুৰুষ যেমন বলবানু, হৃদয়ের প্রীতি, দয়া ও কোমলতায় নারী তেমনি সম্মাননীয়া । পুৰুষগণের উগ্রতা ও কঠোরতার স্ত্রীজাতির কোমলতাই একমাত্র প্রতিকার। গুহই এইরূপ করিবার উপযুক্ত স্থান। এই জন্যই কবির। কহিয়৷ থাকেন, রমণী গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা, গৃহের লক্ষী স্বরূপণ—“ নারী জুৰুচ্যতে বুধৈঃ।” রমণীগণের পুৰুষের চরিত্র সংশোধন করিৰার ক্ষমতা বিষয়ে অধিক বলিবার প্রয়োজন করে না । ইহা বলিলেই পর্যাপ্ত হইৰে যে, মহৎ