পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s

  • Ե 8 बणशहिला ! [ ২য় খ, ১২শ সং }

করিতে পরামুখ নছে । তাছাদের রমণীর উলঙ্গ হইতে লজ্জা বোধ করে না, কিন্তু অচিত্রিত হইয় গৃহের বাহিরে যাওয়া শীলতার ৰিকৰ মনে করে। দেশভ্রমণকারীরা কহিয়া থাকেন যে, অসভ্য জাতির বস্ত্র অপেক্ষ। রঙ্গিল কাচ ও ভয় প্রস্তর, চিকণ ঝিমুক ইত্যাদি পদার্থ অধিকতর আগ্রহের সহিত গ্রহণ করে। ত্রিপুরাসন্নিহিত দেশে কুকী নামে বন্য-পশু সদৃশ এক অসভ্য জাতি ৰাস করে। তাহার প্রায়ই উলঙ্গ থাকে, কিন্তু চিকণ প্রস্তরখণ্ড, সুচিত্রিত কপর্দক, পক্ষীর সুন্দর পালক পাইলেই মস্তকে বা গলদেশে বন্ধন করে। কেবল অসভ্যজাতিরা কেম, সত্যজাতীয় রমণীগণের সুন্দরী ৰলিয়া, লোকসমাজে পরিচিত হইবার লালসা এত অধিক যে, তাছাদের জীবনের অধিকাংশ অঙ্গৰিন্যাসে আতিৰাহিত হয় । বস্তুতঃ অসভ্যজাতির বিবরণ পাঠে ও সত্যজাতির রীতি দর্শমে ইহাই প্রতীতি হয় যে, সুবিধা ও শীলতার অম্বরোধে পরিচ্ছদের ব্যবহার চলিত হইবার পূৰ্ব্বে, সৌন্দৰ্য্যৰ্বন্ধি ও প্রশংসা লাজের অমৃরোধে অলঙ্কারপরিধান-প্রথ। প্রচলিত ছিল । আর যখন আমরা দেখিতে পাই যে, সভ্য জাতির মধ্যেও, বস্ত্র শক্ত ও গাত্রের উপ যোগী ছইল কি ম। তাছ না দেখিয়া বস্তুের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি অধিক দৃষ্টি,জুৰিধাজনক হইল কি না তাছ না দেৰিয়া "কাট” উত্তম হইয়াছে কি না তা হাতে অধিক মনোযোগ, তখন ইহাতে আরও সপ্রমাণ হইতেছে যে, অঙ্গের সৌন্দর্ষ্যসম্পাদনের লালস। হইতেই বস্ত্রপরিধান প্রথার উৎপত্তি । - আমরা পূর্বে বলিয়াছি যে, অঙ্গনাগণ সৌন্দৰ্য্যবৃদ্ধির আশয়ে নামাবিধ অলঙ্কার পরিধাম করে। ইংরাজ রমণীর অধিক গছন। পরে না, কিন্তু তাছীদের বসনের পারিপাট্য ও উৎকর্ষের প্রতি বেশী মনোযোগ । ৰঙ্গমহিলাদেয় ৰসনের দিকে তত বৃষ্টি নাই, কিন্তু তাছার নানাবিধ গহনা পরিতে ভাল বাসেন । বস্ত্র যোগাইতে ও অলঙ্কার প্রস্তুত করিতে খরচ অজন্ত অধিক । ডৰে খুন্দর বসম চারি পাচ মাস মধ্যে নাশ প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু গছন। অনেক দিন