পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

abr● বঙ্গমহিলা । [২য় খ, ১২শ সং। } ব্যবহার-শাস্ত্রের দুই একটা মূল সত্য জানা আৰখক। ব্যবহারশাস্ত্র পাঠ করিলেই অবগত হওয়া যায় যে, ধন ও অর্থ বিভিন্ন পদার্থ। যে সকল দ্রব্যের বিনিময়ে অন্যান্স প্রয়োজনীয় ঐ ব্য পাওয়া যায় তাহাঁর নাম ধন। ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি ভাৰৎ প্রয়োজনীয় দ্রব্যই ধন । কিন্তু, স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র মুদ্রাকে অর্থ কহে । কিঞ্চিৎ অমৃধাবন করিলেই বুঝা যায় যে, স্বর্ণ রৌপ্যের কোন স্বতঃসিদ্ধ গুণ বা মূল্য নাই। যে দেশে রৌপ্য বা স্বর্ণমুদ্র চলিত নাই,-যেমন আফ্ৰিকা-তঞ্চায় স্বর্ণ রৌপ্যের কোন প্রয়োজন নাই ; উছার দ্বারা কোন আবশ্বকীয় দ্রব্য বিনিময়ে প্রাপ্ত হওয়া যায় না । কিন্তু,চাউল কি অন্য খাদ্যদ্রব্য দ্বারা সকল দেশেই অন্ধ দ্রব্য পাওয়া যায়। রবিনসনৃকুশের পক্ষে সেই নির্মমুয্য দ্বীপে এক খলিয়। স্বর্ণমুদ্র। অপেক্ষ এক মুষ্টি ধান অধিকতর প্রয়োজনীয় হইয়াছিল । কিন্তু সকল সভ্য দেশে অর্থের বিনিময়ে নানাবিধ প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাওয়া যায় বলিয়াই ইহার এত গৌরব । বিনিময় কাৰ্য্য অন্যান্য বস্তুদ্বারা সাধিত হইতে পারে। চীনদেশীয়ের চ। একত্র জমাট করে এবং জমাট চা অর্থরুপে ৰ্যবহার করে। আমদের দেশে পুরাকালে কড়ি ব্যবহৃত হইত। কোন দোষ করিলে দশ বা কুঁড়ি কড়ি জরিমান হইবে, এইরূপ মমৃতে অমৃজ্ঞা আছে। ফলতঃ যে প্রকার পদার্থই হউক না কেন, যাহা সাধারণে ঐকমত্য ছইয়া অর্থস্বরূপ নির্ণয় করেন, তাহ দ্বারাই বিনিময়কাৰ্য সাধিত হইতে পারে। কিন্তু বিনিময়কাৰ্য্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবহার সুবিধা আছে বলিয়া প্রায় সকল সুসভ্য দেশে চলিত হইয়াছে । অতএব ইহাতে প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, স্বর্ণ বিনিময়কার্ধে নিযুক্ত না করিয়া সিন্ধুকের মধ্যে রাখা ও ঐ সিন্ধুকে পথের ধুলা রাখা এই উভয়ই সমান। উছা কোন কার্য্যে না খাটাইলে অর্থ বৃদ্ধি পায় না, দেশেরও এবৃদ্ধি হয় না । যখন আমরা গহনা প্রস্তুত করাই তখন উহা কোন কার্ধ্যে লাগে না ; উহা আমাদের হস্তে অমৃৎপাদক হইয়া পড়িয়া থাকে। কোন ব্যবসায়ে নিয়োজিত না হওয়াতে উছ ক্রমশঃ