পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&२ বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৩য় সং। ১৯। ২০ । পুত্ৰ বেদ হইতে এইরূপ পাঠ করিবে যথা— আমার মাত ব্যভিচার বুসেন, পরগৃহ ভ্রমণ ও পতির প্রতি অনাচার করিয়া যে পবিত্র শোণিত দূষিত করিয়াছেন সেই শোণিত,আমার পিতা পবিত্ৰ কৰুনৃ। মাতাকে অসৎস্বভাব জানিলে পুত্রকে এইরূপ বেদেtচারণ করিতে হইবে । ২১। পত্যহুরাগের বিৰুদ্ধ কোন প্রকার কুচিন্ত হইলেই স্ত্রীলোকের এইরূপ পণপশুদ্ধি প্রার্থনা করিতে হয় । কারণ ঐ রূপ কুচিন্তাই ব্যভিচারের প্রারম্ভ । ২২। স্বামীর দোষ গুণ স্ত্রীলোকে নিশ্চয় প্রাপ্ত হইবে। যেমন নদী সমুদ্রের সহিত মিলিত হইলে তাহার দোষ গুণ প্রাপ্ত হয় । ২৩। অক্ষমাল। নীচবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । কিন্তু বশিষ্ঠের সহধৰ্ম্মিণী হইয়। সাতিশয় উন্নত হইয়াছিলেন । নীচ জন্ম শারঙ্গীও এইরূপ মন্দপালের গৃহিণী হইয়। এইরূপ হইয়াছিলেন। ২৪ । এই সকল ও অন্যান্য স্ত্রীর নীচকুলে প্রস্থত হইলেও স্বামীর গুণে ইহলোকে পরাগত লাভ করিয়াছিলেন। ২৬। সতীন্দ্রী পুত্ৰ কামনার অল্পবৰ্ত্তিনী হইয় যে সৌভাগ্যবান মহানৃ-পুৰুষের গৃহ উজ্জ্বল করে, তাহীর ঐ অচল হয়। ২৭। সন্তানোৎপাদন, সন্তানপালন ও গৃহকর্ম পর্যবেক্ষণ স্ত্রীলোকের বিশেষ ধৰ্ম্ম । ২৮। স্ত্রী হইতেই সন্তান উৎপন্ন হয়। স্ত্রী হইতেই পরিবার পালন ব্যবস্থা হয়, স্নেহ মায়ণ দাক্ষিণ্যাদি স্ত্রী হইতেই উৎপন্ন হয়, স্ত্রী হইতেই স্বামী ও পিতৃগণের সদগতি হয় । ২৯ । যে স্ত্রী স্বামীকে পরিত্যাগ করিবে না, প্রত্যুত কায়মনোবাক্যে স্বামিসেবা করিবে, সে চরমে স্বৰ্গলাভ করিবে । এবং ধাৰ্ম্মিকের তাহাকে ইহলোকে সাধী বলিয়া ডাকিবে । ৩o । কিন্তু যে স্ত্রী অসতী হইবে, ইহলোকে তাহার কলঙ্কের সীমা থাকিবে না। এবং সে পরলোকে গোধাগর্ভে জন্মগ্রহণ করিবে । এবং উৎকট পীড়ায় অস্থির হইবে ।