পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, סץא ל l J বঙ্গ মহিলা । & O ৩১। এক্ষণে সন্ততিবিষয়ক ব্যবস্থাসকল বর্ণিত হইতেছে। ৩২ । পুত্র স্বামীর অধিকৃত। কিন্তু এস্থলে স্বামী শব্দে বেদে মতভেদু লক্ষিত হয় । কেহ তাহাকে জন্মদাতা কহে, কেহ ব৷ ন্যায়ানুসারে পরিণেতা ভৰ্ত্ত মনে করে। ৩৩ । স্ত্রীকে ক্ষেত্র এবং পুৰুষকে বীজ কহিয়া থাকে। উদ্ভিদ সকল ক্ষেত্র ও বীজের সহযোগে উৎপন্ন হয় । , ৩৪। কোন কোন স্থলে পুৰুষের এবং কোন কোন স্থলে স্ত্রী, লোকের উৎপাদনকারিতার প্রশংসা করিতে হয় । উভয়ের সমান শক্তি হুইলেই সন্ততির প্রশস্তত হইয় থাকে । ৩৫। সাধারণতঃ পুৰুষশক্তিই উৎকৃষ্ট বলিয়। কথিত হয় । কারণ জীবমাত্রেরই অপত্যে পুৰুষশক্তির উৎকর্ষই লক্ষিত হইয়। থাকে । ৪১। বেদপারগ বেদাঙ্গবিৎ পুৰুষ পরক্ষেত্রে বীজ বপন । করিবে না । - ৪৬। বিক্রয় বা পরিত্যাগ দ্বার স্ত্রী স্বামীর অধীনতা হইতে মুক্ত হইতে পারে না । ৪৭। দায়ভাগ একবার হইতে পারে, স্ত্রীলোকের বিবাহ একবার হইতে পারে, এবং “ অহং দদামি ” এই বাক্য একবার বলা যাইতে পারে। এই তিন সামঞ্জীর একবার দান হইলে অণর প্রত্যপ হার হইতে পারে না। — এইরূপ আরও কয়েকটা তর্কবিতর্কের পর মহাত্মা মন্ত্র স্ত্রীদিগের সম্বন্ধে পুনৰ্ব্বার ব্যবস্থা করিয়াছেন, যথ। -- ৫৭ । জ্যেষ্ঠের স্ত্রীকে কনিষ্ঠ শাশুড়ীর ন্যায় মনে করিবে । কনিষ্ঠের স্ত্রীকে পুত্রবধুর ন্যায় মনে করিতে হইবে । আমরা এস্থলে দেবরেণ স্থতোৎপত্তি প্রভৃতি ব্যবহার উল্লেখ করিলাম না । ৭২। রীতিমত বিবাহের পরও পত্নীকে দূষিত রোগগ্রস্ত। বা আনক্ষত। জানিলে স্বামী তাহাকে পরিত্যাগ করিতে পরিবে ।