পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ι θ' বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৩য় সং । . অসভ্যজাতির বিবাহ প্রথা । অসভ্যজাতিদিগের মধ্যে যেরূপ বিবাহপ্রথা প্রচলিত দৃষ্ট হইয়া থাকে, তাহাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, পশুর সহিত তাহাদের অল্পই প্রভেদ । যে সকল জাতি আসভ্যতার সর্বনীচ পদবীতে অবস্থান করিতেছে, তাহার। বিবাহ যে কি পদার্থ তাহ অবগত নহে। দক্ষিণ আমেরিকায় পারাগুয়ানিবাসী অসভ্যজাতির মধ্যে বিবাহের নির্দিষ্ট নিয়ম নাই। ইচ্ছানুসারে স্ত্রী পুৰুষ সম্মিলিত হয়, ইচ্ছানুসারে আবার পৃথক হইয় থাকে। যে সকল অসভ্যজাতির মধ্যে উদ্বাহপ্রথা প্রচলিত আছে, তাহারণ প্রকৃত দাম্পত্যপ্রণয় কাহাকে বলে তা হা জানে না, কেবল ইন্দ্রিয়তুষ্টিই বিবাহের একমাত্র উদেখ বলিয়। মনে করে। গ্রিনৃল ওনিবাসী এক্স কুইমেণ জাতির পুৰুষের বহু পত্নী গ্রহণ করিতে পারে। "যুবতী, সুন্দরী ও চতুরা হইলে কোন কোন রমণী দুই পতির ভাৰ্য্যা হয়। আত্মীয় বন্ধুকে কিছু কালের নিমিত্ত ভাৰ্য্যাকে ঋণ দেওয়াও দোষাবহ বলিয়া গণ্য হয় না । উড়িষ্যা জাতীয় নীচ বর্ণের মধ্যে ভ্রাতার প্রাণ বিয়োগ হইলে ভ্রাতৃজায়ার পাণি গ্রহণ প্রথা প্রচলিত অাছে এবং তিববতদেশে পা ও বদিগের ন্যায় সকল সহোদরে মিলিয়া একটী রমণী বিবাহ করে, জ্যেষ্ঠ ভ্রাত। ঐ স্ত্রী মনোনীত করিবার অধিকারী। মলবারনিবাসী নায়র সম্প্রদায়ের ( রাজা ও ভূম্যধিকারী ) উদ্বাহ পদ্ধতি অতিশয় জঘন্য । ইহfর দশ বৎসর বয়ঃ ক্রম হইলে বিবাহ করে ও বিবাহের পর স্ত্রীর সহিত কোন সম্পর্কই থাকে না। পুৰুষের অন্য রমণী অবলম্বন করে, ও স্ত্রীর পিত্ৰালয়ে বাস করিয়া মৰ্য্যাদাপন্ন স্বজাতীয় পুৰুষকে গ্রহণ করে ; তাহাতে কিছুমাত্র দোষ বোধ করে ন। স্ত্রীদিগের গৰ্বে যে সকল সন্তান হয়, তাহদের সহিত বিবাহকৰ্ত্তার কোন সম্পর্ক নাই । তাহারণ স্ব স্ব মাতুলের উত্তরাধিকারী হয় । এরূপস্থলে স্ত্রী পুৰুষে বিবাহ যে কেন দেওয়া হয়, তাহা বুঝিতে পারা যায় না ।