পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১২৮৩ । ] অসভ্যজাতির বিবাহ প্রথা । &సి বলপূর্বক স্ত্রী হরণ করা অসভ্যজাতিদিগের মধ্যে প্রবল দৃষ্ট হয় । ইহাকে রাক্ষস বিবাহ বলা যায়। পূৰ্ব্বকালে হিন্দুদিগের মধ্যেও এইরূপ বিবাহ প্রথা প্রচলিত ছিল, কিন্তু হিন্দুর। ইহাকে সৰ্ব্বনিকৃষ্ট বিবাহপ্রথা বলিয়া গণ্য করিত। অষ্ট্রেলিয়াবাসীদিগের মধ্যে রাক্ষস বিবাহ প্রচলিত অাছে, তদেশীয় পুৰুষ জাত্যস্তর হইতে আপনার ভাবী ভার্ষ্য মনোনীত করিয়া তাহাকে ধরিবার নিমিত্ত গুপ্তভাবে তাহাকে অমুসরণ করে। পরে তাহাকে তাহার রক্ষকগণ হইতে কিয়দ,রে দেখিতে পাইলেই গোপনে তাহার সন্নিধানে আগমন করে। এবং তা হা র সহিত প্রীতিগর্ভ মধুরালাপ করার পরিবর্তে কাষ্ঠ যটি বা অন্য কঠোর দণ্ডদ্বারা তাহকে প্রহার করিয়া এককালে অচৈতন্য করিয়া ফেলে । তদনন্তর তাহাকে স্বজাতির মধ্যে আনয়ন করিয়া বিবাহ করে । কোন কোন অসভ্যজাতির মধ্যে রাক্ষস বিবাহু প্রকৃত প্রস্তাবে দৃষ্ট হয় না বটে কিছু বিৰাহোৎসবে উহ। একটা প্রধান অঙ্গ বলিয়। গণ্য । ইহার কন্যাকে বলপূর্বক হরণ করে না, তথাপি বলপূর্বক হরণ করিতেছে, এইরূপ ভাগ করিয়া থাকে। কেম্বেল নামক একটা সাহেব সম্বলপুর নিবাসী খণ্ড জাতির বিবরণে এইরূপ লিখিয়াছেন :–“ আমি এক দিন রাত্রিতে একটা গ্রামে মহা কোলাহল শুনিতে পাইলাম এবং মারামারি হইতেছে এরূপ মনে করিয়৷ তথtয় উপনীত হইলাম । দেখিলাম, যে একটা যুব রক্তবর্ণ বস্ত্রাচ্ছাদিত কোন পদার্থ পিঠের উপর করিয়া লইয়। যাইতেছে এবং সেই যুবার চতুর্দিকে প্রায় বিশ ত্ৰিশটী যুব। তাছাকে কতকগুলি যুবতী রমণীর আক্রমণ হইতে রক্ষা করিতেছে। এই অদ্ভুত ঘটনার কারণ জিজ্ঞাসা করাতে, একজন বলিল যে, ঐ যুব বিবাহ করিয়া আপনার স্ত্রীকে স্কন্ধে করিয়া নিজগ্রামে গমন করিতেছে । কন্যার সর্থীর। তাহাকে ফিরিয়। পাইবার নিমিত্ত বরের গাত্রে ঢ়িল ছুড়িতেছে । ” ক্লার্ক সাহেব মালয় দেশের বিবাহপ্রথা উপলক্ষে এইরূপ